শনিবার   ১৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১   ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অখিল গগৈ কে মেরে ফেলার পরিকল্পনা নাকি সরকারের ?

আবুল সাহিদ , শিলচর আসাম

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৮:৫৪ পিএম, ১১ জুলাই ২০২০ শনিবার

অখিলের করোনা নিয়ে ও কি হচ্ছে রাজনীতি, নিষিদ্ধ করা ঘরের ভিতর কিভাবে প্রবেশ করল করোনা ।
ভার্চুয়াল জগতে এইসব প্রশ্নের চলাচ্ছে হাহাকার ।
জাতি মাটি রক্ষা করা সর্বানন্দ সোনোয়াল সরকারকে প্রশ্ন কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি। 
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা আন্দোলনের সময় গ্রেফতার হওয়া কৃষক নেতা অখিল গগৈ বিগত ২০০ দিন
 থেকে বন্দি কারাগারে একটা মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর যাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে অন্য আরেকটি মামলা ।
একটার পর একটা মামলা করে স্্ অখিল গগৈয়ের উপরে সরকারের আক্রোশ রয়েছে তা প্রমাণ করে।পুলিশকে ঘুষি মেরে দাঁত ভাঙ্গার অভিযোগ অখিল গগৈয়ের উপরে দাঁত ভাঙ্গা মামলার তদন্তের দায়িত্ব এনআইএর উপরে তা থেকে এটাই প্রমাণ হয় অখিল গগৈকে যে কোন প্রকারে জেলের ভিতর বন্দি রাখা এবং মুক্ত আকাশে না বের হতে দেওয়া।
বারে বারে জামিনের জন্য, আবেদন করার পর ব্যর্থ হওয়া । 
এখন অখিল গগৈয়ের মুক্তির দাবিতে চলছে এক ভার্চুয়াল আন্দোলন  সোশ্যাল মিডিয়ায় আরম্ভ হয়েছে হ্যাশট্যাগ আন্দোলন রেলীজ অখিল গগৈ জাস্টিস ফর অখিল গগৈ।
অখিল গগৈয়ের মুক্তির দাবিতে এইভাবে ফেসবুক পেইজ বা টুইটার ভরিয়ে দিয়েছে অনেকে।
পুত্রের ফটো বুকে জড়িয়ে অখিলের মায়ের একটি আহ্বান মুক্তি দিন অখিল গগৈকে একজন এ লিখেছেন আমার নিয়া প্রয়োজন নেই ন্যায়ের নিয়ে প্রয়োজন।
কেউ আবার এঁকেছে ছবি  লিখেছেন প্রতিবাদকে এত ভয় কেন।
আদর্শগত মিল নেই অনেকের তারপরও লিখেছেন মুক্তি দিন অখিল গগৈকে সোশ্যাল মিডিয়াতে আলোচনায় থাকার মধ্যে হঠাৎ এসেছে খবর কোভিড পজিটিভ  অখিল গগৈ ।
একই সঙ্গে দুই সতীর্থ দর্য কুয়ার এবং ভিতু সোনোয়ালকে ইতিমধ্যে জেল থেকে বেরিয়ে নিয়ে এসে চলছে চিকিৎসা কিন্তু অখিল গগৈয়ের ক্ষেত্রে নীরব সরকার।
এবং জেল কর্তৃপক্ষ নিয়ে ‌ বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন হচ্ছে জনমতে একবার পজিটিভ আসার পর কিছুক্ষণ পর খবর এসেছে রিপোর্ট নেগেটিভ আবার বলা হচ্ছে দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে 
অখিল গগৈয়ের স্যাম্পল ।
তাই রহস্যর আবদ্ধ পুরো ঘটনা। সরকারের এই লীলা দেখে অখিল গগৈয়ের স্ত্রীর চারটি প্রশ্ন সরকারের কাছে কোথায় রাখবেন কেবিন দরকার নেই নাকি নাকি ঘুমাতে জানলে এমনি ঘুম এসে যাবে।
কোভিড বড় না ছোট রোগ । যদিও এটা বড় রোগ হয় তাহলে এভাবে একত্রিত ভাবে কয়েদিদের কেন রাখা হলো পরীক্ষার জন্য কেন আদালতে সাহায্য চাওয়া হল । যদি এটা ছোট রোগ তাহলে কেন দেশের অসংখ্য মানুষদের অজানা সংগ্রামে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে । 
রোগে না মোরে ক্ষুধার্ত মরার জন্য ছেড়ে দেওয়া হলো কেন ।অখিল পত্নীর এই চারটি প্রশ্নের উত্তর আছে কি সরকারের কাছে। সরকারের এই ঘটনা নিয়ে যা করছে তাতে প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক কারোন ২৭ জুন থেকে অখিল গগৈয়ের দেহে দেখা গিয়েছিল  করবোনার  লক্ষণ। 
অখিল গগৈয়ের পরীক্ষা করানোর জন্য কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি এবং অনেক উনার শুভাকাঙ্খীরা দাবি তুলেছিলেন। 
কিন্তু একটু গুরুত্ব দেয়নি কারাগার কর্তৃপক্ষ । অবশেষে এনআইএর নির্দেশে অখিল গগৈয়ের করোনা পরীক্ষা সম্পূর্ণ করল কারাগার কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষা হয়েছে কিন্তু তারপরও নাটক ফলাফল নিয়ে এর মাঝে কৃষক নেতা অখিল গগৈয়ের জন্য এলো একটি সুখবর। 
অখিল গগৈ কে আইনি সাহায্য হাত বাড়াবার জন্য এগিয়ে এসেছে বিরোধীদল কংগ্রেস । 
কংগ্রেস বিদায়নি দলের নেতা দেবতা শইকীয়ার  আহব্বানে ফল  নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির অখিল গগৈ কে আইনি সাহায্য প্রদান করবে এই কথা ঘোষণা করলেন   বিরোধী কংগ্রেস ।