সংখ্যালঘু স্কলারশিপে দুর্নীতি আসামে,মুসলিম ছাত্রের বাবা হিন্দু
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৮:২৯ পিএম, ৩০ জুন ২০২০ মঙ্গলবার
আসামে মাইনোরিটি স্কলারশিপের কেলেঙ্কারি সামনে এলো তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড়। ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ অর্থ বছরে করিমগঞ্জ জেলার বদরপুরের কালাইবন্দ সরকারি স্কুলে সংখ্যালঘু স্কলারশিপের (প্রি-মেট্রিক) নামে দেদার দুর্নীতি হয়েছে। সিন্ডিকেটরাজের দৌলতে মুসলিম বাবার হিন্দু পদবির ছাত্র এবং হিন্দু বাবার মুসলিম পদবির ছাত্র দেখিয়ে সংখ্যালঘু স্কলারশিপের টাকার দেদার লুণ্ঠন হয়েছে। বদরপুর সমাজসেবী চৌধুরী উসামা মবরুর বলেন, মাইনোরিটি স্কলারশিপ প্রাপ্ত তালিকায় থাকা প্রত্যেকটি ভুয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে ওইসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করার দাবি তোলেন তারা। এছাড়াও একটি সক্রিয় দালালচক্র বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে ভুয়া তথ্য যেমন ছাত্র-ছাত্রীর নাম, বিভিন্ন স্কুলের সিল-দস্তখত জালিয়াতি করে স্কলারশিপের তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করে টাকা আত্মসাৎ করেছে। এ ক্ষেত্রে ওইসব ভুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের গ্রেফতার করে তাদের নাম কীভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তা তদন্তক্রমে শনাক্ত করে গ্রেফতার করার দাবি জানান তিনি ।এদিকে, স্কলারশিপ প্রাপকদের তালিকায় বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীদের নামে বিভিন্ন ব্যাংক ও সিএসপিতে ভুয়া অ্যাকাউন্ট রয়েছে ।ওইসব একাউন্ট কোন ব্যাংকের কোন শাখায় করা হয়েছে তার তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক, সিএসপি কর্তৃপক্ষকে তদন্তের আওতায় এনে গ্রেফতার করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে ।স্কলারশিপ কেলেঙ্কারির সাথে সরাসরিভাবে ব্যাংক সিএসপির একটি চক্র জড়িত রয়েছে বলে তাদের গ্রেফতার করার দাবি জানান চৌধুরী উসামা মবরুর ।বদরপুরের সচেতন নাগরিকরা জানান, জেলায় মাইনরিটি স্কলারশিপের নামে কয়েক জন অধিকারীক বহু টাকা আত্মসাৎ করেছে যার ফলস্বরূপ নীরিহ শিক্ষার্থীদের ভোগ করতে হয়েছে। তাহারা আরও বলেন যে অবিভাবক এবং ছাত্ররা অনেক কষ্ট করে বৃত্তি পাওয়ার আশায় ফর্ম ফিলাপ করেছিলেন কিন্তু কয়েকজন দূর্নীতিবাজরা তা আত্মসাৎ করে নিয়েছে।