মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কলিকলম বিভাগ

কলিকলম বিভাগ

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৪:৫৭ এএম, ১৬ মার্চ ২০২০ সোমবার

কালিকলম বিভাগ:-

এক পশলা স্বস্তি ...

না, এ কেমন দিন -
আবীরে দোলে আমের বোলে
পলাশে শিমুলে কৃষ্ণচূড়ার লালে
পারুলের আগুনে সাদা ফুলে ভরা সজনের ডালে
বাগান বিলাসে রুদ্রপলাশে
বসন্ত কোথায় হাসবে
তা নয়, আর্দ্র বাতাসে 
বৃষ্টি আসে 
নরম গরম চাদরে জড়িয়ে 
যেন ফিরে এলো শীতের দিন।
ওদিকে ভাঁটফুলে ভরে আছে রাজবাড়ি চত্বর।
ল্যানটেনা ক্যামারার ঝোপে প্রজাপতি।
পুকুরে ঝিরঝিরে বৃষ্টির দোল,
মেঘলা আকাশ কি বলে গো,
কি কথা বলে যায় বাতাস ?
জনহীন পথ,

সপ্তাহের শেষ দিনেতে 
এমন বাদল,
সব যেন নিজেরাই ছুটি করে নিয়েছে।

সুযোগ পেয়ে তাই বলে কাজ কি কম ?
পরীক্ষার খাতায় ডুবে থাকা।

টেবিলের এক কোণে তিন মাথা একসাথে টেলিফিল্ম দেখা।

শীলাদি অবসরপ্রাপ্তা শিক্ষিকা একাধারে সার্থক গৃহিনী, মা, এখন শিল্পপতি।
শহরে গ্রামে দু'দুখানা বাড়ি।
সপ্তাহে দু'দিন থাকেন গ্রামের বাড়িতে। 
ভোরে পাখির ডাকে ঘুম ভাঙে,
সন্ধ্যে ঘুরতেই শেয়ালের ডাকে নির্জনতা নামে। 
দামী সুইফ্ট থেকে নেমে 
হাসির ফোয়ারা ছুটিয়ে একঝলক চৈত্রের বাতাস সাথে এনে 
নিমেষে আত্মতৃপ্তির ঝড় বইয়ে দিলেন। 
আর্ট অব লিভিং ,রাধা-কৃষ্ণের প্রেম- কিছুই বাদ গেলো না সেখানে।
ওদিকে রাজরূপা গুনগুন করে গাইছে "আকাশে আজ কোন চরণের আসা-যাওয়া / বাতাসে আজ কোন পরশের লাগে হাওয়া।"
সূর্যতপাদি আজ আর প্রধান শিক্ষিকা নন। সকলের সাথে গলা মিলিয়ে বলে চলেছেন কৃষ্ণমাহাত্ম্য, শেষ পর্যন্ত রাধার প্রতি কৃষ্ণের ব্যবহার ..
"ঐ যে কৃষ্ণ চলে গেলেন,আর এলেন না ..."

কেমন যেন অজান্তেই স্বস্তির শ্বাস বেরিয়ে এলো। মনটা হাল্কা হলো।

✍©ডরোথী দাশ বিশ্বাস

অণুকবিতা:

"সবই শূণ্য "
  -পারমিতা সরকার 

ভাঙা রাতের বিষাক্ত ক্ষুধা--
সর্পিল পথে চলে যায় নাবিক,
নোঙর ফেলা জাহাজে থামার উল্লাস
জোয়ারে আবার পাড়ি দেবার টান 
ছিন্নমূলেও আগল ধরে--
কেঁদে ওঠে বিদেহী হৃদয়,
কালো জলে পরজীবী নাচে 
চেতনারা বিলুপ্ত হয় । 
গহীন বনে প্রাণ আছে,
কিন্তু ইচ্ছের ওপর ধূলোর আস্তরণ ।

"আশা ":-
লেখনী-পারমিতা সরকার 

একটি মৃত্যু,
অহরহ লড়াই-
ইচ্ছের বিরুদ্ধে বেঁচে যাওয়া প্রাণগুলি
জীবনের ওপর চরম প্রতিশোধ নিতে,
ছাইচাপা আগুনের মতো ধিকিধিকি জ্বলছে ।
শেষ হবে কী?
     -------

যদি…
-রবি শীল

পুনঃজন্ম বলে যদি কিছু থাকে তবে হতে চাই বাবার বাবা ,
শোধিতে চাই বাবার সব ঋণ হয়ে আমি বাবা |

অনায়াসে কাঁধে তুলে নেবো বাবার সকল জ্বালা ,
যদি হতে পারি একবার আমার বাবার বাবা |

আঙুল ধরে হাটাবো তাকে গায়ের মেঠো পথে ,
নিজের হাতে খাওয়াবো তারে আমি বাবা হয়ে |

মুখাগ্নিতে বাবা শোধিবে ঋণ পরকালের তরে , রইবো পিতা পুত্র হয়ে অন্তরে অন্তরে |