রবিবাসরীয়
ত্রিশের পরেও তারণ্য কি করে ধরে রাখবেন? জানুন
লমপুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ১০:০২ পিএম, ১৫ মার্চ ২০২০ রোববার
পুষ্পপ্রভাত রবিবাসরীয়:-
স্বাস্থ্যকথা:-
৩০-এর পরেও ত্বক উজ্জ্বল ও তারুণ্য ধরে রাখতে কী করতে হবে? জেনে নিন:-
এদেশে যেহারে পরিবেশ দূষণ বাড়ছে তার সরাসরি প্রভাব পরছে ত্বকের উপর। সেই সঙ্গে স্ট্রেসের মাত্রা বাড়ার কারণে অসময়ে ত্বকও যাচ্ছে বুড়িয়ে। আর ত্বক বুড়িয়ে যাওয়া মানে বলিরেখা প্রকাশ পাওয়া। ফলে সৌন্দর্য কমতে সময় লাগে না। ৩০-এর পরেও ত্বককে উজ্জ্বল এবং প্রণবন্ত রাখতে কী কী করতে হবে, তা জেনে নিন এই প্রবন্ধটি চটজলদি পড়ে ফেলে।
১. যতটা সম্ভব চিনি কম খাওয়া জরুরি:
দেহের অন্দরে চিনির মাত্রা বাড়তে থাকলে গ্লাইকেশন নামে একটা ঘটনা ঘটে থাকে। এই সময় চিনি, ত্বকের অন্দরে জলের মাত্রা কমাতে শুরু করে। ফলে স্কিনের আদ্রতা হারিয়ে যায়। আর এমনটা হলে বলিরেখা প্রকাশ পেতেও সময় লাগে না।
২. প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে হবে:
ত্বক তখনই বুড়িয়ে যায়, যখন স্কিন নিজের আদ্রতা হারাতে থাকে। এই কারণেই তো ত্বককে সুন্দর রাখতে বেশি মাত্রায় জল খাওযার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। আসলে দেহের অন্দরে জলের ঘাটতি দূর হলে ত্বকের আদ্রতাও বজায় থাকে।
৩. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টর ঘাটতি যেন না হয়:
ত্বকের অন্দরে টক্সিক বা বিষাক্ত উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করলে ত্বক বুড়িয়ে যেতে শুরু করে। তাই এমনটা যাতে আপনার ত্বকের সঙ্গে না ঘটে, তা সুনিশ্চিত করতে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কোনও বকল্প হয় না বললেই চলে।
৪. প্রোটিনের ঘাটতি যেন না হয়:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে দেহের অন্দরে প্রোটিনের মাত্রা কমতে থাকলে ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরে স্ট্রেসের মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে তার সরাসরি প্রভাবে পরে ত্বকের উপর।
৫. ঘুমের ঘাটতি মানেই ত্বকের মৃত্যু:
আসলে ঘুমনোর সময় আমাদের দেহের অন্দরে থাকা চিকিৎসকেরা সারা দিন ধরে শরীর এবং ত্বকের অন্দরে সৃষ্টি হওয়া ক্ষতদের চিকিৎসা করা শুরু করে। ফলে একদিকে যেমন দেহের ভাঙন রোধ হয়, তেমনি অসময়ে ত্বকের সৌন্দর্য কমে যাওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
প্রসঙ্গত, বশ কিছু খাবারও আছে যা নিয়মিত খেলে ত্বক বুড়িয়ে যাওয়া আশঙ্কা একেবারে শূন্যে এসে দাঁড়ায়। এই যেমন ধরুন… ডালিম, ডিম, সবুজ শাক-সবজি।