বীরভূমের হজরতপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ১০:৩৮ পিএম, ৫ মার্চ ২০২০ বৃহস্পতিবার
আজ বীরভূম জেলার খয়রাশোল ব্লকের হজরতপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চায়েত সমিতির অর্থানুকূল্যে নির্মিত মিডডে মিল সেডের শুভ উদবোধন করেন বিডিও সঞ্জয় দাস। এরপর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিভাগে বিদ্যালয়ের বিজয়ী খেলোয়াড়দের পুরস্কৃত করা হয় এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে, সেই সাথে বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে বিভিন্ন বিষয়ের উপর কৃতি শিক্ষার্থীদের ও সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এদিনের মহতি সভায় উপস্থিত ছিলেন খয়রাশোল ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সঞ্জয় দাস, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্যামল গায়েন, বিশিষ্ট সমাজসেবী অরুন চক্রবর্তী,অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক রবিউল ইসলাম, হজরতপুর প্রধান ফুলমণি দাস, বড়রা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কাঞ্চন অধিকারী প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। সকল বক্তাদের বক্তব্যে ফুটে ওঠে বর্তমানে শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি খেলাধুলাকে যেমন গুরুত্ব দিয়েছেন বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তেমনি স্কুল পড়ুয়াদের জন্য ও শিক্ষার ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক সুনীত কুমার মাল জানান গতকাল পর্যন্ত ৪৮০ জন পড়ুয়া ৩০ টি ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে, তাদের মধ্যে থেকে প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারি হিসেবে ৯০ জন পড়ুয়াকে পুরস্কৃত করা হয়। উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ পড়ুয়াদের হাতে পুরস্কার সামগ্রী তুলে দেন । উল্লেখ্য অনুষ্ঠান মঞ্চে এদিন এই বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক আতাউর হক শিক্ষার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চা বৃদ্ধি ঘটাতে একটি হারমোনিয়াম তুলে দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের হাতে। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুনিপুণ ভাবে পরিচালনা করেন সহকারী শিক্ষকদ্বয় সুপ্রিয় ধর ও সুদীপ্ত মন্ডল। বিদ্যালয়ের ছাত্রী প্রশিক্ষা ঘোষ, জ্যোতি মন্ডল সহ সহযোগিদের নাচ যেমন সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অনুরূপভাবে শিক্ষিকা তোড়া মোদক, সুচরিতা ব্যানার্জী ও সুমনা মুখার্জীদের অতিথি আপ্যায়নে ব্যতিব্যস্ত তার চিত্র ফুটে ওঠে। সর্বশেষে উপস্থিত পড়ুয়াদের জন্য ও মিডডে মিলে ছিল পিকনিকের আয়োজন। বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া তথা খেলার সাথে পড়াশোনার যে সম্পর্ক তাহা বিস্তারিত ভাবে একান্ত সাক্ষাৎকারে জানান খয়রাশোল দক্ষিণ চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক রবিউল ইসলাম।