শনিবার   ১৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ২ ১৪৩১   ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে রাজ্যসভায় দেওয়া হোক প্রশান্ত কিশোর

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ১০:১৪ পিএম, ৫ মার্চ ২০২০ বৃহস্পতিবার

সর্বভারতীয় স্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়জয়কার সুনিশ্চিত করতে প্রশান্ত কিশোরকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশবাসীকে আশার আলো দেখিয়ে লড়াইয়ে ঝাপিয়ে পড়তেও পারেন। দক্ষ সংগঠক প্রশান্ত কিশোর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলে সর্বভারতীয় স্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের গুরুত্ব বাড়বে। আগামী দিনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশর প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন। 

দেশ জুড়ে যোগ্য নেতার অভাবে দেশর কল্যাণে চরমভাবে ব্যর্থ কিছু নেতারাই এখন দেশ পরিচালনা করছেন। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো যোগ্য নেত্রী হাতে দেশ পরিচালনার ভার থাকলে দেশের উন্নতি হতো।

সর্বভারতীয় স্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা বাড়াতে প্রশান্ত কিশোর বড় ভূমিকা পালন করতে পারবেন আগামীতে। 

প্রশান্ত কিশোর তৃণমূল কংগ্রেসের জয়জয়কার সুনিশ্চিত করতে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে সভা অনুষ্ঠিত করছেন। যোগ্য নেতাদের দ্রুত সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পরামর্শ দিচ্ছেন। 

এমুহূর্তে বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের জয়জয়কার সুনিশ্চিত করতে প্রশান্ত কিশোর বড় ভূমিকা পালন করছেন। 

সামনে পৌরসভার নির্বাচন কাদের প্রার্থী করা যাবে সেই নিয়ে আলোচনা চলছে তবে কাজের লোক স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ইতিবাচক মনোভাব পোষণের মানুষের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে  তালিকা তৈরি হবে। 

বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছিল যারফলে লোকসভা নির্বাচনে ১৮ টি আসনে জিতেছে বিজেপি। 

এনআরসি, ক্যা নিয়ে মাতামাতি করতে গিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের উদারচিন্তার মানসিকতা যুক্ত বহু মানুষ বিজেপি থেকে দূরে সরে এসেছেন।


প্রশান্ত কিশোর তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবমূর্তি ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটিয়েছেন এবং সাধারণ মানুষের ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টির জায়গাকে অনেকটাই মেরামতি করতে পেরেছেন।

পৌরসভার নির্বাচনে রাজ্য জুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়জয়কার হবে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।  

বাংলার মানুষ শান্তি চায়। উন্নয়ন চায়। তৃণমূল কংগ্রেস সরকার বাংলায় যে উন্নয়ন করেছে তা মানুষের কাছে তুলে ধরতে পারলেই জয় আসবে। 

২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গড়তে বদ্ধপরিকর হয়েছে। মানুষের ভোটে জিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন। সঠিকভাবে যোগ্য নেতা-নেত্রী সহ স্বচ্ছ ভাবমূর্তি আছে এমন কিছু মানুষকে যদি প্রার্থী হিসেবে উপস্থিত করেন সাধারণ মানুষের সামনে তাহলে সহজেই জয় সুনিশ্চিত হবে। 

সর্বভারতীয় স্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের গুরুত্ব বাড়াতে সাহায্য করতে পারেন প্রশান্ত কিশোর। তাকে সর্বত্র কাজে লাগিয়ে দলের সমর্থন সংখ্যা হুহু করে বাড়িয়ে এগিয়ে যেতে হবে। 

বিভেদকামী শক্তির পরাজয় সুনিশ্চিত করতে লাগাতার আলোচনা ও সচেতনতা গড়ে তুলতে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত করতে হবে। 

বাংলার মানুষের কল্যাণে দেশের সাধারণ মানুষের মঙ্গলের জন্য বিভেদমূলক সরকারের পতন সুনিশ্চিত করতে প্রশান্ত কিশোরদের মতো নেতাকর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে। 


দেশ জুড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ্য নেত্রী হিসেবে জনপ্রিয়। তিনিই প্রথম এনআরসি, ক্যা নিয়ে দেশবাসীকে আশার আলো দেখিয়ে লড়াইয়ে ঝাপিয়ে পড়লেন। মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন। মিটিং মিছিল করে  গর্জে উঠলেন বিভেদমূলক আইনের বিপক্ষে। 

বাংলা আগামী দিনে দেশের সাধারণ মানুষের মঙ্গলের জন্য নেতৃত্ব দেবে। সময় এসেছে ঘুরে দাঁড়িয়ে দেখিয়ে দেওয়ার। বাংলাই পারে ভাঙনের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে। 


আগামী দিনে ভারতের মুক্তি সূর্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই দেশের সাধারণ মানুষের মঙ্গলের জন্য নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বিভেদমূলক নীতির বিরুদ্ধে গর্জে উঠে আন্দোলন করছেন। মানুষকে সচেতন করছেন। আশা যোগাচ্ছেন। ভারত মুক্তির পথ দেখাচ্ছেন। এমুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের মহান নেত্রী যিনি সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন। 

দেশবাসী আশার আলো দেখছেন। ভারতের গনতান্ত্রিক পরিবেশ বিনষ্ট করছেন যারা তাদের পতন সুনিশ্চিত করতে সভা সমাবেশ অনুষ্ঠিত করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

দেশ বিরোধী শক্তি প্রতিহত করতে জোটবদ্ধভাবে পারস্পরিক আলোচনা করে এগিয়ে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

এমুহূর্তে দেশের জন্য প্রশান্ত কিশোর তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরে রাজ্যসভায় গেলে বাংলার ও দেশের মঙ্গল করবেন তিনি। 

দেশের অসহিষ্ণুতা রুখে নতুন রূপে উদার ভারতকে তুলে ধরতে পারলেই অর্থনৈতিক সাবালকত্ব অর্জনে দিকে আরও এগিয়ে যাবে ভারত।

বাংলা শুধু নয় ভারতের গর্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।