পরিবেশপ্রেমীদের আন্দোলন ও খবরের জেরে ব্লেড তারের বেরা খুললো
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৫:৫৩ পিএম, ৫ মার্চ ২০২০ বৃহস্পতিবার
পরিবেশ প্রেমী দের লাগাতার আন্দোলন ও সংবাদপত্রে খবরের জেরে অবশেষে ধারালো ব্লেড তারের বেরা খুলে নিল চা বাগান কর্তৃপক্ষ। চাবাগানের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে পরিবেশ প্রেমীরা।
চাবাগানের আবাদি এলাকায় গবাদিপশুর প্রবেশ আটকাতে গত কয়েক বছর ধরে ডুয়ার্সের বেশ কিছু চাবাগান কর্তৃপক্ষ আবাদি এলাকার সীমা বরাবর ধারালো ব্লেড তারের বেরা দিয়েছিল। এতেই সমস্যা তৈরি হয়েছিল বন্যপ্রাণীর চলাচলের। বেশ কিছু চাবাগান আবার বুনো হাতির কোরিডোরেই রয়েছে। ব্লেড তারের বেরাতে মারাত্মক ভাবে জখম হচ্ছিল গবাদিপশু থেকে বনের হাতি, বাইসন সহ অন্যান্যরা। গবাদিপশুর চিকিৎসা সম্ভব হলেও বন্যপ্রাণীর চিকিৎসা করা এক প্রকার অসম্ভব ছিল। এতেই নড়েচড়ে বসে বন দপ্তর। পরিবেশ প্রেমীরাও আন্দোলনে নামে। সম্প্রতি রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায় মুর্তিতে এক সরকারি অনুষ্ঠানে এসে এই বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। এই বেরা খুলে নেওয়ার জন্য চাবাগান গুলিকে চিঠি দিতে বন কর্তাদের বলেছিলেন। বন দপ্তর চাবাগান গুলিকে চিঠি দেওয়ার আগেই এই বেরা খোলার উদ্যোগ নিল চাবাগান।
ডুয়ার্সের ডামডিম থেকে ওদলাবাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৫ কিমি জাতীয় সরকের দুধারে রয়েছে রানীচেরা চাবাগানের আবাদি এলাকা। এই অঞ্চল আবার বহু পুরনো হাতির কোরিডোরে।এই এলাকায় চাবাগান কর্তৃপক্ষ ব্লেড তারের বেরা দিয়েছিল। কিছুদিন আগে চাবাগানে আটকে পড়া এক হাতির দলের হস্তিশাবক এই ব্লেড তারের বেরাতে জখম হয়। এতেই সোচ্চার হয় পরিবেশ প্রেমীরা। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সেই খবর প্রচার হয়। এরপর বৃহস্পতিবার রানীচেরা চাবাগান কর্তৃপক্ষ ব্লেড তারের বেরা খুলে ফেলা শুরু করে।
এনিয়ে চাবাগানের মালিক তনসুক রায় গোয়েল বলেন, বনবিভাগ বা অন্য কোন সরকারি ভাবে আমাদের কাছে নির্দেশ আসেনি। আপনারা কদিন আগে এবিষয়ে জানিয়েছিলেন। দেখলাম যদি বনের জন্তুজানোয়ারের ক্ষতি হয় তবে খুলে ফেলা ভালো। তাই ম্যানেজারকে বলেছি খুলে ফেলতে।
এনিয়ে সন্মানিয়া ওয়াইল্ড লাইফ ওয়াডেন্ট সীমা চৌধুরী বলেন, চাবাগান কর্তৃপক্ষের এটা খুব ভালো উদ্যোগ। ওই এলাকা হাতির কোরিডোর। ব্লেড তারে জখম হলে ইনফেকশন হয়। ভালো কাজ করেছে।
ওদলাবাড়ির পরিবেশ প্রেমী নফসর আলি, চালসার পরিবেশ প্রেমী মানবেন্দ্র দে সরকার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।