তিস্তার করনেশন ব্রিজ বিপদজনক, ভারি যান চলাচল নিষিদ্ধ হলো
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ১০:১৯ পিএম, ৪ মার্চ ২০২০ বুধবার
সেতুর অবস্থা ভালো নয়, এই কারনে সেভকে তিস্তার উপর করনেশন সেতুর উপর যান ভারী যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার উদ্যোগ নিল প্রশাসন।
শিলিগুড়ি থেকে ডুয়ার্স যাতায়াতের প্রধান লাইফ লাইন ৩১ নম্বর জাতীয় সরক। শিলিগুড়ি ও ডুয়ার্সের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে তিস্তা নদী। এই নদীর উপর সেই ইংরেজ আমলে প্রায় ৮০ বছর আগে তৈরি হয়েছিল করনেশন সেতু। বয়েসের ভারে সেই সেতু আজ অবসর চাইছে। কিন্তু, বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে না ওঠায় এই সেতুই একমাত্র ভরসা। বছর কয়েক আগে এই সেতুতে ফাটল দেখা দিয়েছিল। সেই সময় বিশেষজ্ঞ পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ভারী যান চলাচলের উপর নিয়ন্ত্রণ আনার সুপারিশ করে। সেই মর্মে দার্জিলিং জেলা শাসক ভারী চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। সেই নিষেধাজ্ঞা বেশ কিছুদিন কঠোর ভাবে মানা হয়েছিল। পরে শৈথিল্য আসায় আবার ভারি যান চলাচল শুরু করে। ১২ থেকে ১৮ চাকায় পন্যবাহী ট্রাক ৪০ থেকে ৫০ টন মাল নিয়ে যাতায়াত শুরু করে। ইতিমধ্যে ডুয়ার্সে দ্বিতীয় তিস্তা সেতুর দাবীতে আন্দোলনে নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সেই সংস্থা সম্প্রতি সেতুর পিলারের নিচে গার্ডার ক্ষয়ে যাওয়ার ছবি প্রকাশ করে। এরপর বিভিন্ন মাধ্যমে এনিয়ে লেখালেখি শুরু হয়। এরপর বুধবার সকাল থেকে পুলিশ ভারি যান চলাচলের উপর নিয়ন্ত্রণ আনা শুরু করে। বহু ট্রাক ঘুরিয়ে দেয়। বহু পন্যবাহী ট্রাক রাস্তার পাশে দাড়িয়ে পড়ে।
এনিয়ে কালিম্পং থানার আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্য বলেন, সেতুর কথা চিন্তা করে আমরা ভারী যান চলাচলের উপর নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করছি। বেশ কিছু গাড়ি আটকে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে আচমকা যানবাহন চলাচল আটকে পড়ায় বিপাকে পড়ে যান চালকরা। সুরিন্দ্র শা নামের এক ড্রাইভার বলেন, আমাদের ওদলাবাড়িতে আটকে দিলে ভালো হতো। তাহলে আমরা ঘুর পথে যেতাম। এখন ব্রিজের সামনে পাহাড়ি রাস্তায় গাড়ী ঘোরানো মুসকিল।
এনিয়ে আন্দোলনকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ডুয়ার্স ফোরাম ফর সিটিজেন রাইটের আহ্বায়ক চন্দন রায় বলেন, প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই পাশাপাশি আমাদের দাবী অবিলম্বে দ্বিতীয় সরক সেতু নির্মাণ করা হোক। এই পুরানো সেতু হেরিটেজ হিসেবে সংরক্ষণ করা হোক।