রোববার   ১৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ২ ১৪৩১   ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

হাতির হানায় ধংসস্তুপ বনদপ্তরকর্মীদের নিরপত্তার স্থানীয়দের সহায়

সংবাদদাতা,মালবাজার

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৯:৫১ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সোমবার

 এক সময় ছিল প্রান চঞ্চল বনদপ্তর।কর্মীরা থাকতেন। ছিল ফরেস্ট ডিপো। বন কর্মীরা একদিকে যেমন বন রক্ষা করতো পাশাপাশি স্থানীয় মানুষের সুরক্ষা দিত। কিন্তু, গত কয়েক বছর ধরে বুনো হাতির উপদ্রবে ধংসস্তুপ হয়ে গেছে বন দপ্তরের ঘরবাড়ি। কর্মীরা অন্যত্র চলে গেছে। এতেই নিরপত্তা হারিয়েছে স্থানীয় মানুষ। অসুরক্ষিত হয়ে গেছে গরুমারা বনাঞ্চলের উত্তর পুর্ব কোন। বিকাল হতেই বনের থেকে বেরিয়ে আসছে হাতি। বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি ভেঙে তছনছ করছে। মারছে মানুষ। অন্যদিকে দিনের বেলা অবাদে বনের গাছ কেটে সাফ হচ্ছে। এই রকম ঘটনা ঘটেছে ডুয়ার্সের নাগরাকাটা ব্লকের বামনডাঙ্গা চাবাগান ও গরুমারা বনাঞ্চল সংলগ্ন এলাকায়। 
ডুয়ার্সের নাগরাকাটা ব্লকের বনাঞ্চল ও নদী ঘেরা বামনডাঙ্গা চাবাগান। এই চাবাগানের হাতি লাইন শ্রমিক বস্তি গরুমারা বনাঞ্চলের গা ঘেসা। পুর্বে ডায়না নদী ও পশ্চিম রয়েছে জলঢাকা নদী। একদিকে ডায়না ও অন্যদিকে গরুমারা বনাঞ্চল। হাতির আক্রমণ নিত্যকার ঘটনা। ইতিমধ্যে বেশ কিছু মানুষের প্রান গেছে। প্রায় ৩০০ ঘরবাড়ি ভাঙ্গা পড়েছে। মানুষ আতংকিত। অথচ এই এলাকায় ছিল বন দপ্তরের এক ডিপো। থাকতেন বন কর্মীরা। তার বন ও মানুষের সুরক্ষা দিত। সবই আজ অতীত। বন দপ্তরের ভবন গুলি ক্রমাগত হাতির আক্রমণে ভেঙে চুরমার। বন কর্মীরা নেই। স্থানীয় বাসিন্দা বদ্রু উরাও জানান, এখানে বিকাল হলেই হাতি বের হয়। ঘরবাড়ি ভাঙ্গে,ফসলের ক্ষতি করে। মানুষ মারে। আগে এরকম ছিল না। 
এই রকম কথা অনেকে বলেছেন। সবাই চায় বন দপ্তর আবার চালু হোক। কর্মীরা থাকুক। সবাইকে নিরপত্তা দিক। 
এনিয়ে বনদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, বিষয়টি খোজ নিয়ে দেখা হবে।