সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নিষ্প্রাণ নয়াটোলা শিশুপার্কের

রিকু আমির

দৈনিক জাগরণ

প্রকাশিত : ০৮:১৪ পিএম, ৪ নভেম্বর ২০১৮ রোববার

 

মগবাজার নয়াটোলা শিশুপার্ক নিষ্প্রাণ অবস্থায় পড়ে আছে। বিশেষ করে এর পাশে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্মিত সেকেন্ডারি ট্রান্সফার
স্টেশন (এসটিএস) পার্কটিকে ধ্বংসের চূড়ান্ত সীমায় নিয়ে গেছে বলে স্থানীয়দের ভাষ্য।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত এই পার্ক। ৪ নভেম্বর দুপুরে সেখানে গিয়ে দেখা যায়- নয়াটোলা সড়কের যে গেট
দিয়ে পার্কে প্রবেশ করতে হতো, সে প্রবেশ পথ ঘেঁষেই নির্মাণ করা হয়েছে এসটিএস। প্রবেশের জন্য নির্মিত লোহার গেটের একটি ভাঙা অংশ
আছে। প্রবেশ পথের মাঝে তিনটি খুঁটি কুপে রাখা। পার্কের ভেতরে তীব্র দুর্গন্ধের আধিপত্য ওই এসটিএসের ভেতর থাকা সারা এলাকার
আবর্জনার কারণে। পার্কের ভেতর বসার কোনো পরিবেশ নেই, ঘাস নেই।

আরও দেখা গেছে- দোলনাসহ আরো একটি খেলার সরঞ্জামের ভাঙা অংশ। এটা যে পার্ক, সেটা দৃশ্যমানভাবে বোঝার উপায় এসবই। এছাড়া
পার্কটির ভেতর বট, কাঠবাদাম, দেবদারু গাছ সারিবদ্ধভাবে লাগানো। সীমানার এক প্রান্তে ৩৫ ও ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড কার্যালয়, ওয়াসার পাম্প,
দু’পাশ জুড়ে রাস্তা, আরেকপাশে আবাসিক ভবন।

অন্যদিকে, এসটিএসের কাজে ব্যবহৃত ভ্যান, ট্রলি, পয়ঃনিষ্কাশন কাজে ব্যবহৃত বড় বড় পাইপ, বিদ্যুতের খুঁটিও রাখা আছে।

রয়েছে একটি রিকশা মেরামতের কারখানাও। এই কারখানার মালিক দাবি করে মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ‘আমি তো এই জায়গায় কাম করি
প্রায় দুই বছর ধইরা। কই, কেউ তো কিছু কয়টয় না।’

স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী রফিক এ প্রতিবেদককে বলেন, প্রায় ১০ বছর ধরে এই অবস্থা। এর আগে পার্কটিকে সুন্দর করার উদ্দেশে কিছু
গাছ রোপন করা হয়েছিল।

সরেজমিনে জানা যায়- বর্তমানে যেখানে এসটিএস, সেখানে ছিল ময়লা-আবর্জনা ফেলার কন্টেইনার। এজন্য সৃষ্ট প্রচণ্ড দুর্গন্ধের কারণে এ পথে ও
পার্কে যাতায়াতকারীরা দীর্ঘদিন ধরে চরম ভোগান্তিতে ছিলেন। ২০১৩ সালের দিকে কন্টেইনার তুলে ফেলা হয় এবং নির্মাণ করা হয় এসটিএস।

৩৬ নম্বর ওয়ার্কের কাউন্সিলর তৈমুর রেজা খোকন। পার্ক ঘেঁষা তার কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে কয়েকদফা কল
করেও তার সাক্ষাত পাওয়া যায়নি।

কাউন্সিলর কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে- এই এলাকায় সরকারি সম্পত্তি অত্যন্ত কম। এসটিএস নির্মাণের জায়গা পাওয়া যাচ্ছিল না। এজন্য পার্কের
একটি অংশ নেয়া হয়েছে।

কিন্তু পার্কটিকে ব্যবহার উপযোগী করতে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বা হচ্ছে কি-না, এমন প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি।