তৃণমূলের প্রধান ও উপপ্রধানকে প্রাণে মারার হুমকি
হক নাসরিন বানু
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৬:০৫ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার
তৃণমূলের প্রধান ও উপপ্রধানকে প্রাণে মারার হুমকি, গ্রেপ্তার পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী।
গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে তৃণমূল দলের প্রধান এবং উপ-প্রধানকে গুলি করে খুন করার হুমকির অভিযোগে স্থানীয় বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও। বৃহস্পতিবার ধূত ওই বিজেপি নেতাকে মালদা জেলা আদালতে পেশ করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, সোমবার বিকেলে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মালদা ইংরেজবাজার ব্লকের কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস চত্বরে। দলীয় প্রধানকে প্রাণে মারার হুমকি ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূল দলের নেতাকর্মীরা। এদিন সন্ধ্যায় অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে গ্রেফতারের দাবিতে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান মন্টু ইসলামের নেতৃত্বে ইংরেজবাজার থানার সামনে বিক্ষোভ অবস্থান বসে পড়েন সংশ্লিষ্ট এলাকার তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন তৃণমূল দলের ওই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সত্যজিৎ চৌধুরীও । পরে পুলিশি আশ্বাসে বিক্ষোভ অবস্থান ইংরেজবাজার থানার সামনে থেকে উঠে যায়। এই ঘটনায় তৃণমূল দলের ওই পঞ্চায়েতের উপ প্রধান মন্টু ইসলাম অভিযুক্ত বিজেপি নেতা প্রদীপ মণ্ডল , নারায়ণ চৌধুরী, বাবলু রজক সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযুক্ত ওই পঞ্চায়েত সদস্য অনিমা মণ্ডলের স্বামী প্রদীপ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার ধূত ওই বিজেপি নেতাকে মালদা জেলা আদালতে তোলা হয়।
কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল দলের উপ-প্রধান মন্টু ইসলাম বলেন, এদিন বিকেলে হঠাৎ করে অফিসে ঢুকে স্থানীয় বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য অনিমা মণ্ডলের স্বামী প্রদীপ মণ্ডল ও তার দলবল ঢুকে ঠিকাদারি কাজের টাকা চেয়ে হুমকি দিতে থাকে। পঞ্চায়েতের কাজের কাটমানি না দিলে গুলি করে খুন করা হবে এমন হুমকি দেয় ওরা। এই নিয়েই ওদের সঙ্গে প্রতিবাদে সোচ্চার হই। তখনই স্থানীয় ওই বিজেপি নেতা প্রদীপ মণ্ডল আমাকে মারতে উদ্ধত্য হয় । পঞ্চায়েত অফিস ঘরে আমার চিৎকার-চেঁচামেচিতে আশেপাশের দলীয় কর্মীরা ছুটে আসেন। অন্যান্য অফিস কর্মীরাও অফিস ঘরে চলে আসেন। তখনই পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বিজেপি নেতা প্রদীপ মণ্ডল তার দলবল নিয়ে পালিয়ে যায়। সেই সময় ওদের হাত থেকে একটি পাইপগান পড়ে যায়। পুলিশ সেই পাইপগান উদ্ধার করেছে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময়ই শান্তি চান। মানুষের হয়ে কাজ করতে চান। আমরা জনদরদি মুখ্যমন্ত্রীর সেই বার্তা অবলম্বন করে শান্তিপূর্ণভাবে পঞ্চায়েতে কাজ করি। বিজেপির জেলা সভাপতি যে অভিযোগ করছেন তাদেরকে ফাঁসানো হচ্ছে এই অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন। কারণ বিজেপি বরাবরই মিথ্যা কথা বলতে অভ্যস্ত। কিছুদিন আগে দিলীপ ঘোষ বলেছেন গরুর বাটে সোনা পাওয়া যাবে। একজন রাজ্য সভাপতি যদি মিথ্যা কথা বলতে পারেন তাহলে তার কর্মীরা তো মিথ্যা কথা বলবেনি। পুলিশ এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করছে আমরা এটাই আশা করেছিলাম। এর জন্য পুলিশ প্রশাসনকে গোটা কাজি গ্রাম গ্রামপঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান উপপ্রধান মন্টু ইসলাম।
যদিও এই ঘটনাটিকে পুরোপুরি ষড়যন্ত্র বলেই দাবি করেছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।