ফের বিজেপির হাত ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি দিলেন অনুব্রত মণ্ডল।
খান আরশাদ, বীরভূম
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৩:১১ পিএম, ৪ নভেম্বর ২০১৯ সোমবার
পশ্চিমবঙ্গে যে ডিটেনশন ক্যাম্প বানাতে আসবে তার মেরে হাত ভেঙ্গে দেব। বীরভূমের মহঃবাজারে আয়োজিত এক জনসভায় এমনই মন্তব্য করলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রত মন্ডল ভাষণের প্রথমেই আক্ষেপ করে বলেন মহম্মদবাজারে যখনই জনসভা করি তখন মাঠে জায়গা হয় না। কিন্তু ভোট বাক্সে সেই ফল দেখা যায়নি। অনুব্রত বলেন আপনারা কেন মুখ ঘুরিয়ে নিলেন তা জানি না নিশ্চয় হয়তো আমি কোন অন্যায় করেছি বা কোন ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। কিন্তু লোকসভায় তো বিজেপিকে আপনারা ভোট দিয়েছেন। কোন কি লাভ হয়েছে তাতে ? বিজেপির তো কোনো পরিকল্পনা নেই ওরা কোন কাজ করে না এরা একটি কাজ করতে পারে দাঙ্গা বাধানো। হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা লাগাতে পারে। কিন্তু শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকতে এনআরসি হতে দেব না। আমরা জানি কোন আদিবাসী ভাই-বোন ৭১ সালের আগের দলিল দেখাতে পারবে না অনেক তপশিলি জাতি উপজাতি এমনকি মধ্যবিত্তদের অনেকের ৭১ সালের আগে কোন দলিল নেই তাই বলে কি তারা জেলে থাকবে? এটা হতে পারে না। তিনি মোদীকে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন তুমি আসামে জেল বানিয়েছ কিন্তু এখানে পারবেনা। নিজের দলের সমালোচনা করে বলেন দলীয় কর্মীদের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। কথা বলতে হবে তাদের সাথে। কোন এলাকার অঞ্চল সভাপতি যদি কাজ না করে তাকে সোজা জাহান্নামে পাঠিয়ে দেবো। বুথ-সভাপতিদেরও সাবধান করে বলেন মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে। কোন মেম্বার যদি বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার নাম করে টাকা চায় তাকে যেন বেঁধে মার দেওয়া হয়। অনুব্রত বলেন ২০২১ সালে ২২০ থেকে ২৩০ টি আসন নিয়ে মমতা ব্যানার্জি জয়লাভ করবেন। সবার শেষে পাঁচামির প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন পাঁচামিতে কয়লা খনি শুরু হলে প্রায় এক লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। এক্ষেত্রে কেন্দ্র রাজ্য সরকারকে বাদ দিয়ে কোন কিছু করতে পারবে না। এদিন মহম্মদবাজার অঞ্চল থেকে একশোজন বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেন। আঙ্গারগড়িয়া অঞ্চল থেকেও বেশ কিছু বিজেপি কর্মী সমর্থক এদিন তৃণমূলে যোগ দিলেন। মহম্মদবাজারের এদিনের জনসভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী আশিস ব্যানার্জ্জী, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বিধায়ক নীলাবতী সাহা, বীরভূম জেলাপরিষদের সভাধীপতি বিকাশ রায় চৌধুরী, রানা সিনহা সহ অন্যান্যরা।