রোববার   ১৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ২ ১৪৩১   ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নিখোঁজ কলেজ ছাত্রীর পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধারে উত্তেজনা মালদা রতুয়ায

হক নাসরিন বানু

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৯:৩৫ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০১৯ শনিবার

নিখোঁজ কলেজ ছাত্রীর পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধারে উত্তেজনা মালদা রতুয়ায়। 


হক নাসরিন বানু, মালদা:
নিখোঁজ কলেজ ছাত্রীর পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধারে উত্তেজনা মালদা রতুয়ায়। অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি তুলে রাস্তা অবরোধ মৃতের পরিবার এবং গ্রামবাসীদের। ঘটনায় সিআইডি তদন্তের দাবি তোলেন মৃতের পরিবার। 
উল্লেখ্য, পাঁচ দিন ধরে নিঁখোজ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর পচা গলা দেহ শুক্রবার রাত্রে উদ্ধার হয় কলেজের কাছেই এক ধান ক্ষেত থেকে। অপহরণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ মৃতার পরিবারের।গ্রেফতার ছাত্রীর হবু স্বামী। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদা রতুয়ায়। সামসি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মরজিনা খাতুন(২২) গত ১৪ অক্টোবর থেকে নিঁখোজ। পরিবারের তরফে অপহরণের অভিযোগ করা হয়।যার পরিপ্রেক্ষিতে মালদা রতুয়া থানার পুলিশ তদন্তে নেমে মরজিনার হবু স্বামী ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত স্থানীয় যুবক বাপি সেখকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রতুয়ার বাহারালের উত্তর সাহাপুর গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মনসুর সেখের মেয়ে,সামসি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মরজিনা খাতুনের বিয়ে স্থির হয় রুকুন্দিপুর গ্রামের বাপি সেখের সঙ্গে। সে সেনাবাহিনীতে কর্মরত বলেই জানা গেছে। বিয়ের সামাজিক প্রথা মেনে ‘মোহর’ও হয়ে যায়।বিয়ের বাকি অনুষ্ঠান মরজিনার পড়াশোনা শেষ করার পরেই হওয়ার কথা ছিল দুই পরিবারের মধ্যে। মরজিনার পরিবারের অভিযোগ গত ১৪ অক্টোবর বাপি সেখ মরজিনাকে সামসিতে কলেজের কাছে দেখা করার জন্যে ডাকে। যেহেতু তাদের মধ্যে বিয়ে স্থির হয়ে আছে তাই মরজিনার বাবা, মা বাধা দেন নি। মরজিনা দুপুরের আগেই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়। কিন্তু সন্ধ্যের পরেও ফিরে না এলে তার উদবিগ্ন হয়ে ওঠেন। খোঁজ খবর শুরু করেন। ফোন করেন বাপিকে। কিন্তু বাপি জানায়,সেদিন নাকি মরজিনা তার সঙ্গে দেখাই করে নি। এরপরেও মরজিনা ফিরে না এলে রাতেই মালদা রতুয়া থানায় অভিযোগ জানায় মরজিনার পরিবার। পুলিশ তৎপর হয়ে তদন্তে নামে। পরে গ্রেফতার করা হয় বাপিকে। ১০দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয় বাপিকে। কিন্তু খোঁজ মেলে না মরজিনার। অবশেষে শুক্রবার রাতে তাঁর পচা গলা দেহ মেলে সামসি কলেজ যাওয়ার রাস্তায় এক ধানক্ষেত থেকে। শনিবার সকালে ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। অভিযুক্তের ফাঁসি দাবি তুলে সরব হন মৃতা ছাত্রীর পরিবার এবং গ্রামবাসীরা। তারা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।