ফখরুলদের জামিন বিষয়ে শুনানি দুই সপ্তাহ পিছিয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবেদক
দৈনিক জাগরণ
প্রকাশিত : ০৩:৩০ পিএম, ৪ নভেম্বর ২০১৮ রোববার
পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার এক মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের ৮ শীর্ষ নেতাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানির দিন পিছিয়েছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ শুনানির দিন পিছিয়ে আজ রোববার এই আদেশ দেয়। আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
আদালতে বিএনপি নেতাদের পক্ষে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন ও জয়নুল আবেদীন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
গত মাসের প্রথম সপ্তাহে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, বরকতউল্লাহ বুলু ও বিএনপি নেতা এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বিরুদ্ধে করা নাশকতার মামলায় হাইকোর্ট আগাম জামিন দেয়। পরে এই জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
গত ১ অক্টোবর রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় সরকারবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য এবং পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে পুলিশ। মামলায় দলের কেন্দ্রীয় নেতা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী ও যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমানকেও আসামি করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, বিএনপির এসব নেতার এমন বক্তব্যের পর রাজধানীর হাতিরঝিল থানার মগবাজার রেলগেট এলাকায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং জামায়াত, ছাত্রশিবিরের ৭০ থেকে ৮০ জন নেতা–কর্মী জড়ো হন। তারা রাস্তায় যান চলাচলে বাধা দেন। পুলিশ জড়ো হওয়া নেতা–কর্মীদের সড়ক অবরোধ না করতে অনুরোধ করে। কিন্তু পুলিশের অনুরোধ উপেক্ষা করে তারা পুলিশকে হত্যার উদ্দ্যেশ্যে ইটপাটকেল ছুঁড়তে শুরু করেন। সেখানে দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং একটি বাস ভাঙচুর করেন। প্রতিরোধের চেষ্টা করলে তারা লাঠি দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মারধর শুরু করে।