খালেদার প্যারোলে মুক্তির জন্য বিএনপি আলোচনা করতে পারে : কাদের
জাগরণ রিপোর্ট
দৈনিক জাগরণ
প্রকাশিত : ০১:১৮ পিএম, ৪ নভেম্বর ২০১৮ রোববার
সংলাপের বেশ কিছু দাবী মেনে নেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংলাপ ব্যর্থ হয়েছে তা বলা যাবে না। সংলাপের দাবী অনুযায়ী সভা সমাবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেতে চাইলে বিএনপি নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতেই পারেন। সচিবালয়ে রোববার সকালে নিজ কার্যালয়ে সমসাময়িক প্রসঙ্গে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সময়ে সরকারী সুযোগ-সুবিধা (প্রোটোকল, পতাকাবাহী গাড়ীসহ আচরনবিধি লংঘন হয়) কেউই পাবেন না। অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধা কাউকেই দেয়া হবে না। অর্থাৎ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির ব্যাপারে আমরা আন্তরিক।’
তফসিল ঘোষনার বিষয়ে সাংবাকিদের এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, তফসিল ঘোষনার পর সব নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে নির্বাচন কমিশনের হাতে। বিদেশী পর্যবেক্ষক আনার বিষয়টিও কমিশনের এখতিয়ার।
সংলাপের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যতটা সংলাপ হয়েছে, আমি মনে করি ফলপ্রসূ এবং সফল হয়েছে। একটি সংলাপের মধ্য দিয়েই এতোদিনের বরফ গলে যাবে এটা ভাবা যাবে না। তবে আমি বলবো সংলাপ এবং আন্দোলন একসাথে চলে না।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘মামলার সাথে রাজনৈতিক বিষয় তথা নির্বাচনকে মেলানোর কোনো যুক্তি নেই। যে মামলায় দন্ড হয়ে গেছে, তাতে জামিন হবে কিনা সেটা উচ্চ আদালতের ব্যাপার, তারা আইনী লড়াই করুক।’
তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা ছোটো হবে কি না, তা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এখনও সংলাপ বাকী আছে। সেখানে আলাপ আলোচনা করা হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেতে চাইলে বিএনপি নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতেই পারেন। আলোচনার পথ খোলা আছে।’
খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর আগে প্রায় ৩০ মামলায় বেগম জিয়া জামিন পেয়েছেন। আর যে মামলায় রায় হয়েছে সে মামলা আমরা করিনি। রায়ও আমরা দিইনি। তাই রায়ের বিষয়ে তারা আইনিভাবে আদালতে এগুতে পারে। এর পুরোটাই আদালতের বিষয়।