সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঘিস নদীর জলচ্ছাসে রেললাইন ও জাতীয় সরক বিপন্ন প্রায়

সংবাদদাতা, মালবাজার

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৯:১৯ এএম, ১২ জুলাই ২০১৯ শুক্রবার

 শনিবার থেকে ডুয়ার্স ও কালিংপং শুরু হয়েছে প্রবল বর্ষন। বুধবার রাতভর চলে প্রবল বর্ষন চলে। সেই বর্ষনের জলে ডুয়ার্সের প্রতিটি নদী ফুলেফেঁপে উঠছে। সবচেয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে ওদলাবাড়ির কাছে ঘিস নদী।   
ঘিসনদীর প্রবল জলস্রোতে বিপন্ন হয়েছে রেললাইন ও জাতীয় সরক। 
ওদলাবাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ঘিস নদী। এই নদীকে বলা নির্মাণ কাজের বালির ভান্ডার। শুখার মরশুমে জল প্রায় থাকে না বললেই চলে। বর্ষার সময় এই নদী ভয়ংকর হয়ে ওঠে। প্রতি বছর বর্ষার সময় প্রবল জলচ্ছাসে প্লাবিত করে। ক্ষতি করে জাতীয় সরক ও রেলপথকে। 
নদীর উপর সরক ও রেল সেতু থাকলেও গতবছর রেল কর্তৃপক্ষ সেতু থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে রেললাইন রক্ষার জন্য একটি জলের আন্ডারপাশ তৈরি করে। গতবছর এই আন্ডারপাস রেলকে ভুগিয়েছিল। বুধবার রাতের প্রবল বর্ষনের জন্য এই আন্ডারপাসের নিচ দিয়ে প্রচন্ড জলস্রোত বইতে থাকে। স্থানীয় ঘিস বস্তির বাসিন্দা রাশেল সরকার বলেন, গতকাল রাতের প্রবল বর্ষন ও জলচ্ছাসে রেললাইনের মাটি ধসে পড়ে। রেললাইন বিপদজনক হয়ে দাড়ায়। জলস্রোত জাতীয় সরকের উপর দিয়ে বইতে শুরু করে। জাতীয় সরক ধরে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রেললাইনে ক্ষতি হওয়ায় রেল চলাচল থেমে যায়। সকাল বেলা জল খানিকটা কমলে জাতীয় সরক ধরে আবার যানবাহন চলাচল শুরু করে। জাতীয় সরক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 
বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখা গেল রেলের আধিকারিকরা উপস্থিত থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামতের কাজ শুরু করেছে। রেলের এক আধিকারিক জানান, রেল চলাচল স্বাভাবিক হতে আগামী ২৪ ঘন্টার মতো সময় লাগবে। 
অপর দিকে জাতীয় সরক কর্তৃপক্ষ সরকের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মেরামতের কাজ শুরু করেছে। দুফুরের পর থেকে সরক পথে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।