বৃহস্পতিবার   ১৪ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ৩০ ১৪৩১   ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সন্ধ্যা নামতেই রাস্তার ধারে বসে মদ ও ব্রাউন সুগারের আসর

মোহঃ নাজিম আক্তার

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৫:৪৩ পিএম, ১৭ মে ২০১৯ শুক্রবার

হরিশ্চন্দ্রপুর 

সন্ধ্যা নামলেই এই রাস্তার ধারে বসে মদ ও ব্রাউন সুগারের আসর।প্রশাসনের নেই কোনো হেলদোল ।রাস্তাটি হরিশ্চন্দ্রপুর - ১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর জিপির অন্তর্গত বনসরিয়া মোড় থেকে শুরু করে রামপুর, রামরায় হয়ে হরিশ্চন্দ্রপুরে ঢ়ুকেছে।

সন্ধ্যার পর শুরু হয় মাতালদের আড্ডা।লোকেরা ভয়ে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে পারে না।প্রায় ঘটে ছিনতাইয়ের মতো ঘটনাও।প্রতিদিন রামপুর ভবানীপুর, বনসরিয়া ও হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার লোকের যাতায়াত ।এই রাস্তা দিয়েই হরিশ্চন্দ্রপুর থানা, হাসপাতাল ও ব্লকে যাতায়াত করেন স্থানীয় লোকেরা ।

রাস্তাটির দুই ধারে রয়েছে চাষিদের হাজার হাজার একর জমি।নেশাখোরদের ভয়ে চাষীরা জমিতে গভীর রাত পর্যন্ত শস্য পাহারায় থাকতে পারে না ।সকাল হতেই জমিতে পরে থাকতে দেখা যায় কাচের ভাঙা মোদের বোতল ।

 

স্থানীয় চাষীরা জানান, প্রায় এক বছর আগে এটি ছিল কাঁচা রাস্তা।বর্ষার সময় হাটু পর্যন্ত কাদা হয়ে যেত ।গ্রীষ্মকালে উড়ত ধূলো-বালি।রাস্তাটি পাকা হওয়ার পর থেকে এলাকার লোকেদের যাতায়াতের সুবিধা হলেও সন্ধ্যার পর থেকে নেশাখোরদের আড্ডায় সন্ত্রস্ত ।রাস্তাটির মধ্যে রয়েছে একটি পুরনো বটগাছ ।দিনের বেলা চাষী, শ্রমিক ও পথিকরা এই বটতলা ছায়ায় বসে বিশ্রাম করত ।এখন আর তত দেখা যায় না ।

তারা আরও জানান,দূর গ্রাম থেকে বাইক, টোটো, অটোই করে মাতালরা মদের বোতল সঙ্গে নিয়ে আসে ।গভীর রাত পর্যন্ত চলে তাদের আড্ডা।তাদেরকে কিছু বলার কারও সাহস নেই ।

এলাকার লোকজনদের অভিযোগ হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পাশেই কিভাবে চলছে মাতালদের আড্ডা ।রাত্রে পুলিশের টহলদারি হলেই আশাকরি তাদের আড্ডা কমে যাবে ।