ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন থাকেও জলাতঙ্ক রোগের ইনজেকশন পাচ্ছে না
শিষ মোর্তজা
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৮:২৭ পিএম, ১২ মে ২০১৯ রোববার
চাকুলিয়া
ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন থাকা সত্বেও কুকুর কামড়ানো রোগীকে ইনজেকশন না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নার্সদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার চাকুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে। ঘটনার বিবরণে আক্রান্তের মা বিবি গোলনুর জানিয়েছেন যে, গত ৫ই মে তার ছেলে আরজাউল কে কুকুরে কামড় দেয়। সাথে সাথে সে তার ছেলেকে চাকুলিয়া হাসপাতালে নিয়ে আসে এবং কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার বিমলেশ মন্ডলকে দেখান। ডাক্তার মন্ডল প্রেসক্রিপশনে ৫/৫/ ২০১৯, ৮/৫/২০১৯, ১২/৫/২০১৯ এবং ১/৬/২০১৯ তারিখগুলিতে এ, আর, ভি ইনজেকশনগুলি নিতে বলেন। সেই অনুযায়ী গত ৫/৫/২০১৯ তারিখে আক্রান্ত আরজাউল কে দুটি ইনজেকশন ও দেওয়া হয়। ৮/৫/২০১৯ তারিখে সেই প্রেসক্রিপশন সঙ্গে নিয়ে হাসপাতলে আসলে কর্তব্যরত নার্সরা তাদের নতুন কার্ড করার কথা বলে ইনজেকশন না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়। আজ ১২/৫/২০১৯ সকাল ১১ টার সময় বিবি গোলনুর তার ছেলেসহ তার পিতা সোহরাব আলী কে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে আসলে কর্তব্যরত নার্স বি, এম ও এইচ এর রিপোর্ট অনুযায়ী সীমা পাল এবং আরো একজন নার্স যার নাম বি এম ও এইচ বলতে পারেননি তারা ও উক্ত আক্রান্ত আরজাউল ও তার পরিবারের লোকজনদের ফিরিয়ে দেয়। ফলে রোগীর আত্মীয় স্বজন উত্তেজিত হয়ে পড়ে। বি, এম, ও, এইচ কে ফোন করা হলে তিনি বলেন, রোগী না এসেই এমন মিথ্যা অভিযোগ করে থাকে। আগামীকাল বহির্বিভাগে এসে নতুন কার্ড করে নতুন অবস্থায় আবার ইনজেকশন নিতে হবে। পরিস্থিতি জটিল হওয়ায় সামাল দিতে ডাক্তার কে কে মোদি আবার নতুন করে প্রেসক্রিপশন তৈরী করে আরজাউলের ইনজেকশন দেওয়ার ব্যবস্থা করে। রোগীর পরিবারের একটাই প্রশ্ন ১০থেকে ১৫ কিলোমিটার দূর থেকে হাসপাতাল এ আসার পরে এবং ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন থাকা সত্ত্বেও কেন তাদের ইনজেকশন না দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে? এটার তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।