বুনিয়াদপুরে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী জনসভা
পল মৈত্র
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৬:৩৮ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০১৯ শনিবার
দক্ষিন দিনাজপুরঃ
আপনারা বৈশাখের গরমকে উপেক্ষা করে এসেছেন, সেইজন্য অভিনন্দন ও প্রণাম। কিন্তু সভার শেষে বাংলায় স্লোগান ঝড় তোলেন মোদী। সাড়া দেন সভায় যাওয়া দলীয় কর্মী সমর্থকরা।
বুনিয়াদপুরে মোদী! বাংলায় তুললেন স্লোগান ঝড়
অন্যদিনের মতো সভার শুরু করেছিলেন কিছু বাংলা দিয়ে।
দক্ষিন দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরের সভা মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথম দফাতেই দিদির ঘুমের ব্যাঘাত ঘটেছে। আর দ্বিতীয় দফায় য়ে রিপোর্ট আসছে তাতে দিদির ঘুম ছুটেছে।
নরেন্দ্র মোদী বলেন দেখেছি আমাদের ভাইবোনরা কীভাবে তৃণমূলের গুন্ডাদের শিক্ষা দিয়েছে। এভাবেই ওদের প্রতিরোধ করুন।
পুরুলিয়ায় আমাদের আর এক কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। বিজেপি সমর্থকদের আশ্বাস দিচ্ছি এই অত্যাচারের পুরো বিচার হবে। হিংসা যারা করছে তাদের আইন অনুযায়ী কড়া শাস্তি দেওয়া হবে
মমতা দিদি পশ্চিমবঙ্গে যা করেছেন মা মাটি মানুষের নামে ধোঁকা দিয়েছেন।
আমিও ভুল করেছিলাম টিভিতে ওকে যখন দেখতাম তখন মনে হয়েছিল উনি গরিব মানুষের জন্য লড়াই করছেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সেই ভুল ভেঙেছে।
গরিবের টাকা নারদা, সারদা, রোজভ্যালি লুটে নিয়েছে।
গরিবের পুরো টাকার হিসেব নেব। চিটফান্ড দুর্নীতির প্রতিটি টাকার হিসেবে দিতে হবে।
পরীক্ষায় যারা পাস করেছেন তাদের চাকরি দেন না।
গুন্ডাদের দেওয়ার টাকা রয়েছে। ডিএ দেওয়ার টাকা নেই।
অন্যদেশের লোক এনে রাজ্য নির্বাচনী প্রচার হচ্ছে। তোষণের রাজনীতি করার জন্য এসব করা হচ্ছে। দেশের কোথাও এ জিনিস দেখেছেন?
মনে করে দেখুন খাগড়াগড়ের তদন্ত কে রুখতে চেয়েছিলেন!
ভারত এখন জঙ্গিদের ঘরে ঢুকে মারছে।
পাকিস্তানে ঢুকে সেনা এখন জঙ্গিদের মারছে। আর দিদি প্রমাণ চাইছেন। সেনার ওপরে ভরসা নেই!
প্রমাণ যদি চাই তাহলে চিটফান্ড দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করুন।
ক্ষমতায় এলে অনুপ্রবেশকরীদের বিরু্দ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাগরিকত্ব বিল নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে।কিন্তু সভার শেষে নিজেই নাটকীয়ভাবে পরিস্থিতির বদল করেন। প্রথমে হিন্দিতে মোদী জিজ্ঞাসা করেন, তাঁর সঙ্গে গলা মেলাবেন কিনা। সমবেত জনগণের উত্তরে খুশি হয়ে মোদী শুরু করেন বাংলায় স্লোগান। প্রথম বলেন, দুর্নীতিবাজ-রা হুঁশিয়ার। সঙ্গে গলা মেলায় সমবেত জনগণ। পরেরটা ছিল, পলাতকদের আইনের মার, বন্ধ হয়েছে কালো কারবার। দেশদ্রোহীরা পাওলে পার। আতঙ্কবাদীর নেই ছাড়। দুষ্মণকে করব প্রহার। অনুপ্রবেশকারীকে করব সীমাপাড়। বংশবাদ চলবে না। দাগী ছেড়ে কাজের দায়িত্বভার।