মঙ্গলবার   ১৯ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৫ ১৪৩১   ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাংলাদেশের আকাশে মুখোমুখি যাত্রিবাহী বিমান

জাগরণ ডেস্ক

দৈনিক জাগরণ

প্রকাশিত : ০৩:২১ পিএম, ২ নভেম্বর ২০১৮ শুক্রবার

বাংলাদেশের মাঝ আকাশে বুধবার দুপুরে প্রায় মুখোমুখি চলে এসেছিল ইন্ডিগোর দুটি যাত্রিবাহী বিমান। তবে একেবারে শেষ মুহূর্তে অল্পের জন্য মুখোমুখি সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়েছে।  ফলে রক্ষা পেয়েছে কয়েকশ যাত্রীর প্রাণ।

পুরো ঘটনাটির জন্য ঢাকার এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)- এর বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়েছে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকায়।  তবে তা অস্বীকার করা হয়েছে ঢাকার এটিসি-এর পক্ষ থেকে।

কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে বাংলাদেশের আকাশসীমায় এ ঘটনাটি ঘটে।  গুয়াহাটি থেকে কলকাতার দিকে যাচ্ছিল ইন্ডিগোর একটি বিমান।  ঢাকা এটিসি থেকে বিমানের পাইলটকে নির্দেশ দেয়া হয় ৩৬ হাজার ফুট উপর দিয়ে উড়তে।  ঠিক একই সময়ে ইন্ডিগোরই অন্য একটি বিমান চেন্নাই থেকে গুয়াহাটির দিকে যাচ্ছিল।

কলকাতা বিমানবন্দর জানায়, ঢাকা এটিসির নির্দেশে চেন্নাই থেকে গুয়াহাটিগামী বিমানের পাইলট ৩৫ হাজার ফুট উপর দিয়ে উড়ছিলেন।  কিন্তু হঠাৎ করেই ঢাকা এটিসি থেকে কলকাতাগামী বিমানের পাইলটকে ৩৫ হাজার ফুটে নেমে আসতে বলা হয়।  সেই মতো বিমানের পাইলট নেমে আসেন ৩৫ হাজার ফুটে!

পরিস্থিতি দেখে কলকাতার এটিসি থেকে কলকাতাগামী বিমানের পাইলটকে সতর্ক করা হয় যে, একই উচ্চতায় আরও একটি বিমান এগিয়ে যাচ্ছে।  যেহেতু বাংলাদেশের আকাশপথে ঘটনাটি ঘটছে, তাই কলকাতা থেকে কোনো নির্দেশ দেয়া সম্ভব হয়নি।  শুধুমাত্র সতর্ক করা হয়।  ওই পাইলটও ঢাকা এটিসিকে বিষয়টি জানাননি।  ফলে একই উচ্চতায় ক্রমশই কাছাকাছি হতে থাকে ইন্ডিগোর বিমান দু’টি।

এমন সময় ট্র্যাফিক কলিশন অ্যাভয়ডেন্স সিস্টেম (টিকাস) এর মাধ্যমে সংকেত যায় দুই বিমানের পাইলটদের ককপিটে।  শেষ মুহূর্তে গুয়াহাটিগামী বিমানের পাইলট ১ হাজার ফুট নিচে অর্থাৎ ৩৪ হাজার ফুটে তার বিমানটি নামিয়ে আনেন।  দুই বিমানের উচ্চতার ফারাক হয়ে যাওয়ায় মুখোমুখি সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়েছে।  বিমান দু’টি আর কিছুক্ষণ সোজা চলতে থাকলে ঘটে যেতে পারতো মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।

তবে আনন্দবাজার পত্রিকার ওই খবরে বাংলাদেশের কোনো কর্তৃপক্ষের বক্তব্য উল্লেখ করা হয়নি।

বিমান বিশেষজ্ঞেদের মতে, মাঝ আকাশে দু’টি বিমানের উচ্চতার ফারাক থাকা উচিত কমপক্ষে ১০০০ মিটার।  এইক্ষেত্রে সেই ফারাক প্রায় শূন্য হয়ে গিয়েছিলো।  

শেষ মুহূর্তে টিকাসের পাঠানো বিপদ বার্তায় রক্ষা পেলো বিমান দুটি।