বিজেপি-কংগ্রেস একজোট হয়ে কাজ করছে,মালতিপুরে বললেন শুভেন্দু
উজির আলি
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৬:১৮ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০১৯ শনিবার
চাঁচল
শনিবার উত্তর মালদা তৃনমুল প্রাথী মৌসম নূরের সমর্থনে মালতীপুরের জালালপুর ফুটবল মাঠে নির্বাচনী জনসভা করেন রাজ্য পরিবহন ও পরিবেশ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ উম্মেহানি বিবি, কর্মাদক্ষ রফিকুল হোসেন, প্রাক্তন বিধায়ক রহিম বক্সী,অম্লান ভাদুড়ী জেলা পরিষদ হুমায়ন কবীর ও সামিউল ইসলাম থেকে শুরু সকল জেলা ও ব্লক নেতৃত্ব। সভা শুরু হয় সকাল 10 টায়। প্রচণ্ড রোদ্রে হাজারো মানুষের সমাগম হয় এই জনসভাায় বলেন জানান বাবু সরকার।
এদিনের বক্তব্যে শুভেন্দু বলেন, বৃহস্পতিবার সামসির কান্ডারনে মমতা ব্যানর্জীর জনসভায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়েছিল। চাঁচলের কলম বাগানে রাহুল গান্ধীর আমার পালটা সভাতেও লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়। সবই জনগনের আশির্বাদ মনে করি।
সভায় উপস্থিত সকল সমর্থক ও এলাকার ভোটারদের 23 শে এপ্রিল সকাল সকাল মৌসম নূরকে জোড়াফুলে বোতাম টিপে ভোট দিয়ে কেন্দ্রে বিজেপিকে হারানোর ব্যবস্থার কথা বলেন।
শুভেন্দু বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, বিজেপি সরকার তথা জুমলা সরকার সাধারন মানুষকে বিগত পাঁচ বছরে নোটবন্দী ও GST এর নাম করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উপর চরম অত্যাচার করেছেন। ভারতবর্ষের ঐতিহ্যকে ভেঙে ছাড়খান করে দেওয়ার জন্য, নানা জাতি-উপজাতি,আদিবাসী, উচু-নীচু জাতের লড়াই ও হিন্দু মুসলিমদের মধ্যে লড়াই এবং ভিন্ন ধর্মের মধ্যে লড়াই লাগিয়ে বিজেপি সরকার গড়তে চাই কেন্দ্রে,বলেন শুভেন্দু।
কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন, মালদা জেলার কংগ্রেসীরা বিজেপিকে সাহায্য করে। হরিশচন্দ্রপুরের বিধায়ক মুসতাক আলম গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে বোর্ড গঠন করে। পুরাতন মালদহের বিধায়ক অর্জুন হালদার বিজেপিকে নিয়ে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করে।একটিতে কংগ্রেসের প্রধান ও বিজেপির উপ প্রধান আর অন্যটিতে বিজেপির প্রধান কংগ্রেসের উপ প্রধান গঠন হয়েছে। এদিনের বক্তব্যে এমনটাই বলেন শুভেন্দু। সভার মধ্যে মৌসম নুরের দল ত্যাগের কারনও তুলে ধরেন তিনি। মৌসম বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের রাজাংশে এই আতাঁতের বিরুদ্বে প্রতিবাদ করে কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে আসেন মৌসম। তিনি বলেন, মৌসম যখন তৃনমুলে আসার সিদ্ধান্ত নেন তখন নাকি সোনিয়া গান্ধী তার বাসভবনে মৌসম কে ডাক দেন।
সোনিয়া গান্ধী মৌসমকে দলত্যাগ করার কথা প্রশ্ন করলে মৌসম বলেন, মহাশয়া আমি পঞ্চায়েতে যা দেখেছি, যদি আমি তৃনমুলে না যায়! তবে আমার জেলায় বিজেপির জয়লাভ হবে। যদি বিজেপির লাভবান হয়, হিন্দু মুসলিম সম্প্রীতি মালদায় বিভাজন হবে। জেলাজুড়ে বিশৃঙ্খলা ছড়ানো হবে। সোনিয়া মৌসমকে বলেন তুমি কংগ্রেস থেকে লোকসভায় প্রার্থী হও। তোমার পরাজয় হলে দল থেকে তোমাকে উচু পদস্থ দেওয়া হবে। তবে মৌসম প্রসতাবে নারাজ হন। কারন তিনি মালদা জেলায় বিজেপির সুযোগ করে দিতে পারবে না।।
শুভেন্দু অধিকারী উত্তর মালদার বিরোধীদের কটাক্ষ করে বলেন,আজকে বিরোধীদের পায়ের মাটি সরে গেছে নিরুপায় হয়ে তৃনমুল প্রার্থীর কুরুচিকর ছবি ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে শেয়ার করে গ্রামীন মানুষ কে বোকা বানাচ্ছেন।। মৌসম একটা শান্তি মনের ধর্মপ্রান মহিলা। সবাই কে নিয়ে চলতে জানেন। মৌসমকে ব্যক্তিগত কুরুচীপূর্ন আক্রমন করছে এই কংগ্রেসের লোকেরা এমনটাই বলেন শুভেন্দু। কিছু কংগ্রেস কর্মী দিনের বেলায় ইশা খানের সমর্থনে ভোট প্রচার করছেন আর রাতের বেলা বিজেপির হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। এদিনের সভায় বলেন শুভেন্দু। বক্তব্য শেষে ভোটারদের প্রতি বলেন ভোটের দিন সকলে সচিত্র পরিচয়পত্র নিয়ে ঘোরাফিরা করবেন। কেন্দ্রবাহিনী বিজেপির হয়ে কাজ করছেন বলে 12 মিনিটের বক্তব্য শেষ করেন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
পালটা জবাবে, জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলম বলেন, হার নিশ্চিত জেনে মন্ত্রী ভুলভাল বকছেন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন।