শনিবার   ১৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১   ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন দপ্তরের উদ্যোগে ভোট সচেতনতামূলক প্রচার মালদায়

হক নাসরিন বানু

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৫:০৫ পিএম, ১৫ এপ্রিল ২০১৯ সোমবার

 নির্বাচন দপ্তরের উদ্যোগে ঢাক ঢোল পিটিয়ে প্রতিবন্ধী ও নতুন ভোটারদের নিয়ে ভোট সচেতনতামূলক প্রচার ও রেলি করেন নির্বাচন দপ্তরের কর্তারা । সোমবার নববর্ষের দিন সকালে মালদা শহরের বৃন্দাবন মাঠ থেকে ভোট সচেতনতা প্রচার নিয়ে একটি বিশাল রেলি করেন জেলা নির্বাচন দপ্তর কর্তারা।  গম্ভীরা,  বাউল শিল্পী থেকে শুরু করে প্রতিবন্ধী এবং নতুন ভোটারেরাও অংশ নেন এদিনের রেলিতে । "চলো ভোট দিই দেশ গড়ি" এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ভোট সচেতনতা প্রচার করেন জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের কর্মী ও আধিকারিকেরা । মালদা শহরের বৃন্দাবনী মাঠ থেকে শুরু হয় এই রেলি।  গোটা শহর পরিক্রমা করে রেলিটি শেষ হয় মালদা কলেজ অডিটরিয়ামে।  সেখানে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

জেলাশাসক তথা নির্বাচন আধিকারিক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন , ভোটারদের সচেতন করতে এদিন এই বিশেষ রেলির  ব্যবস্থা করা হয়েছে । নির্বাচন কেন্দ্রগুলিতে ভোটারদের জন্য কি কি ধরনের সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে তাও সচেতনতার মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে । বিশেষ করে প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ভোটারদের ভোটদানের ক্ষেত্রে প্রতিটি বুথে বিশেষ সুবিধা রাখা হয়েছে।  এছাড়াও ভোটকেন্দ্রগুলোতে পানীয় জল, বসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।জেলাশাসক আরও বলেন , প্রতিটি পরিবারের কাছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভোটার স্লিপ পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে।  পাশাপাশি নির্বাচন দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রচারপত্রের মাধ্যমে ভোটারদের সচেতন করার কাজ চলছে।  নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ভোটারদের নানান ধরনের সুবিধা করে দিয়েছে।  যাতে করে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটারের ভোট দিতে আসেন । ভোটারদের জন্য কি কি সুবিধা রয়েছে তারও একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে।  সেটিও ভোটারদের মধ্যে বিলি করার প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হয়েছে।  এই প্রচারপত্রে কিভাবে ইভিএম মেশিন ভোটারেরা ব্যবহার করবেন সেটিও উল্লেখ করা রয়েছে।এদিনের ভোট সচেতনতা প্রচার রেলিতে জেলাশাসক তথা নির্বাচনী আধিকারিক কৌশিক ভট্টাচার্য্য ছাড়া অংশ নেন পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ । ছিলেন অভজারভেরাও।  এদিন ১০০'রও বেশি প্রতিবন্ধী ভোটারেরা হুইল চেয়ার করে রেলিতে সামিল হন । পাশাপাশি নানান ধরনের সাজসজ্জায় সজ্জিত গম্ভীরা ও মুখোশ শিল্পীরা সামিল হয়েছিলেন। বাউল শিল্পীরা তাদের গানের মাধ্যমে ভোটের সচেতনতামূলক প্রচারের বিষয়গুলি তুলে ধরেন।  এছাড়াও নতুন ভোটার ছাত্র-ছাত্রীরাও ছিলেন এদিনের সচেতনতামূলক প্রচার।