শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

হাতে গোনা কয়েকদিন পর জহুরা চন্ডির পুজো

হক নাসরিন বানু

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ১১:০৩ পিএম, ৯ এপ্রিল ২০১৯ মঙ্গলবার

হাতে গোনা কয়েক দিন পর মা জহুরা চন্ডি মাতার পুজো । ইংরেজ বাজারের গোপাল পুর এলাকায়। জহুরা মন্দির বলা হলেও আসলে এটি চন্ডী মন্দির। বলা হয়, সেন বংশের রাজা বল্লাল সেন এই অঞ্চলের চন্ডী মন্দির স্থাপন করেছিলেন - এটি তার অন্যতম। তবে, মন্দিরের গায়ে পাথরের ফলক আছে, তাতে দেখা যায় যে প্রায় তিনশো বছর আগে সাধক ছল্প তেওয়ারী এখানে গড়ের ওপর জহুরা চন্ডী মাতার বেদী প্রতিষ্ঠা করে পূজা শুরু করেন । তার প্রায় একশো বছর পরে ১২১৩ সালে আর এক সাধক হীরারাম তেওয়ারী এখানে সাধনায় সিদ্ধিলাভ করে দৈব দর্শন করেন, এবং সেই দৈব দর্শন অনুযায়ীই মায়ের মূর্তির রূপরেখা তৈরি করেন এক বৈশাখ মাসে। ঘন লাল রঙে রাঙানো এক বিশাল ঢিবি আর তার ওপরে মায়ের মুখের কল্পনায় এক মুখোশ - এই হচ্ছে এখানকার দেবী মূর্তি। মূল মুর্তির দুপাশে এমন আরো কিছু মুখোশ দেখা যায়, সেই সঙ্গে গর্ভগৃহে আছে শিব এবং গণেশের মূর্তিও। ওই তেওয়ারী সাধকদের পরবর্তী প্রজন্মই এখানে বংশানুক্রমে পুজো করে আসছেন এখনো । এখানকার বৈশিষ্ট্য হলো, রাত্তিরে কোনো পূজা হয় না, যা পূজা হয় সব দিনের বেলায় এবং শুধু শনি ও মঙ্গলবার। ওই দুদিন বেশ ভীড় হয়, পুজোর জন্যে বড় লাইন পড়ে। পুজো দিতে আসেন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ । এছাড়া মায়ের প্রতিষ্ঠা মাস উপলক্ষে বড় মেলা বসে বৈশাখ মাসে। মূল মন্দির লালচে গেরুয়া রঙের পঞ্চরত্ন ধাঁচের, যদিও সেই পঞ্চরত্নের ধরণ আমাদের প্রচলিত ধরণ থেকে একটু আলাদা। চারপাশের গাছ গাছালির মধ্যে সাদা আর লাল রঙের চারপাশে প্রশস্ত বারান্দা ঘেরা এই মন্দিরের পরিবেশ কিন্তু ভারী সুন্দর।