শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ৩০ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিশুদের মধ্যে ঈশ্বর বিরাজমান।

হক নাসরিন বানু

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ১২:২৫ এএম, ৮ এপ্রিল ২০১৯ সোমবার

 মালদা

শিশুদের মধ্যে ঈশ্বর বিরাজমান করেন বলে শোনা যায়, কিন্তু এই শিশুরা দুপুরে দুটো ভাত খাওয়ার জন্য রবিবার মালদা শহরের ফোয়ারা মোড় এলাকায় পথ চলতি মানুষদের কাছে খাওয়ার চাইছিলেন। ছোট ছোট শিশুদের কথা কে বা শুনে সকলে পাশ কাটিয়ে গেলেও দুঃস্থ ক্ষুধার্ত শিশুদের পাশ কাটাতে পারলেন না চায়ের দোকানে বসে থাকা পার্থ মুখার্জী। তিনি নিজে দেরি না করে বাচ্চা গুলি কে দাঁড় করিয়ে সোজা যান মালদার রবীন্দ্র এভিনিউ ফোয়ারা মোড়ের ইন্ডিয়ান গেট বিরিয়ানি হাউসে সেখান থেকে বিরিয়ানি এনে ছোট ছোট তিনটি শিশুকে স্থানীয় চায়ের দোকানে বসে দুপুরের খাবার খাওয়ান। এই মহৎ কাজের জন্য পার্থ মুখার্জী ও তাকে এই কাজে সাহায্য কারীদের আমাদের খবরের সংস্থার পক্ষ থেকে সেলুট জানাই। এই দিনে মহৎ কাজের ঘটনা সম্পর্কে পার্থ মুখার্জী কে সংবাদমাধ্যম জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, বাচ্চা তিনটি দুপুরে দুটো ভাত খাওয়ার জন্য আমার কাছে আসে আমি বাচ্চা গুলিকে জিজ্ঞেস করি তাদের বাড়ি কোথায় ও তাদের বাবা মা কই তখন বাচ্চা গুলি বলেন। বাচ্চা তিনটির বাড়ি মালদা শহরের মহেশপুর এলাকায়। তাদের পিতা তাদের মা তাকে পরিত্যাগ করে পালিয়ে গিয়েছে বর্তমানে রাস্তায় রাস্তায় সকলের কাছে খাওয়ার চেয়ে চলে বাচ্চা গুলির পেট। বাচ্চা গুলির এই এমন অবস্থা দেখেও কেউ এগিয়ে আসে না দু মুঠো ভাত দেওয়ার জন্য তাদের মুখে। আমি চায়ের দোকানে বসে ছিলাম বাচ্চা গুলি এসে আমার কাছে ভাত খেতে চাইছিল। আমাদের বাড়িতে ছোট ছোট শিশু আছে এই কথা ভেবে আমি তাদের পাশ কাটাতে পারলাম না। স্থানীয় বিরিয়ানির দোকানে যায়। আমার কথা শুনে বিরিয়ানি দোকানের মালিক রতন সাহা আমার কাছে বিরিয়ানির দাম নিল না। রতন বাবু বললো এটি একটি মহৎ কাজ সকলে মিলে যদি আমরা আজকের দিনের মত মহৎ কাজ করি তাহলে মালদা জেলায় দুঃস্থ কোন বাচ্চাই ক্ষুধার্ত থাকবে না।