শহিদুলের জামিন আবেদন হাইকোর্টের কার্যতালিকা থেকে বাদ
জাগরণ রিপোর্ট
দৈনিক জাগরণ
প্রকাশিত : ০৭:৪২ পিএম, ১ নভেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার
আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছে হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকা থেকে মামলাটি বাদ দেয়া হয়।
আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সারা হোসেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ।
জানতে চাইলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাগরণকে জানান, আল জাজিরায় প্রচারিত শহিদুল আলমের সংশ্লিষ্ট সাক্ষাৎকারের ভিডিও ফুটেজ ও ফেসবুক লাইভে প্রচারিত বক্তব্য আজ আদালতে এজলাস কক্ষে প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখানো হয়। এরপর আদালত মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয় আদালত। নিয়ম অনুযায়ী এই জামিন আবেদন নিয়ে তারা এখন অন্য বেঞ্চে যেতে পারবেন।
উল্লেখ্য নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকালে গত ২৯ অক্টোবর আল-জাজিরা টেলিভিশনে প্রচারিত হয় শহিদুল আলমের বক্তব্য।
গত ৪ সেপ্টেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের জামিন আবেদন শুনতে বিব্রতবোধ করে হাইকোর্টের অন্য একটি বেঞ্চ।
গত ১২ আগস্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। এর আগে ৬ আগস্ট রাজধানীর রমনা থানায় করা মামলায় শহিদুল আলমের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জর করে আদালত। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন।
শহিদুল আলমকে ৬ আগস্ট বিকেলে আদালতে হাজির করে পুলিশ। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামি শহিদুল আলম তার ফেসবুক টাইম লাইনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে কল্পনাপ্রসূত অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এর মাধ্যমে জনসাধারণের বিভিন্ন শ্রেণিকে শ্রুতিনির্ভর (যাচাই-বাছাই ছাড়া কেবল শোনা কথা) মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে উস্কানি দিয়েছেন, যা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকররূপে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন করেছেন।
রিমান্ড আবেদনে আরও বলা হয়, আসামি শহিদুল ইসলাম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ জনমনে ভীতি ছড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র এবং তা বাস্তবায়নের জন্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রচার করেছেন।