মঙ্গলবার   ১৯ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৪ ১৪৩১   ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অবৈধভাবে চলছে গ্যাস রিফিলিং

পল মৈত্র

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৮:১৭ পিএম, ২ এপ্রিল ২০১৯ মঙ্গলবার

 দক্ষিন দিনাজপুরঃ 

কার্যত প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন জায়গায় অলিগলিতে মুড়ি মুড়কির ন্যায় অবৈধভাবে চলছে গ্যাস রিফিলিংয়ের কাজ ।পাড়ার মুদির দোকান ও অনেক বসতবাড়িতে অনিয়ন্ত্রীতভাবে গ্যাস ভর্তির কাজ হচ্ছে।এইসব পাড়া বা দোকানের সামনে দিয়ে গেলে গ্যাসের তীব্র গন্ধ সবসময় পাওয়া যায় । তা থেকে যখন তখন ঘটতে পারে মারাত্মক ও ভয়াবহ ঘটনা। তাছাড়াও একটি বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অসাধু ব্যবসায়ীরা গ্যাস খোলা বাজারে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্যাস ব্যবসায়ী বলেন, ‘বাজারে এই গ্যাসের চাহিদা প্রচুর । আমাদের দোষ দিয়ে লাভ কি, খরিদ্দার চায় তাই আমরা বিক্রি করি। বাড়ির গ্যাস শেষ হয়ে গেলে সময়মতো বুকিং করে পাওয়া যায় না, তখন তারা বাজারের এই খোলা গ্যাসের উপর নির্ভরশীল। জানি কাজটা অবৈধ ও মারাত্মক কিন্তু কি করবো পেট চালাতে হবেতো।’

প্রসঙ্গত, বুনিয়াদপুর গঙ্গারামপুরে বিভিন্ন পাড়ার দোকানগুলিতে উঁকি দিলেই দেখতে পাওয়া যায় গ্যাস ভর্তির কাজ চলছে। এসবকিছুই প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘটছে । তবুও তাদের এব্যাপারে কোনও হেলদোল নেই। নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন । পরিবেশবিদ বিশ্বপ্রীয় সাহা বলেন, ‘অনিয়ন্ত্রীত ও অবৈধভাবে গ্যাস ভর্তির কাজটা যেমন খুব ঝুঁকির তেমনি এটা বেআইনি কাজও বটে । জানিনা প্রশাসন সব জেনেও চুপ কেন ? অতি স্বত্তর বেআইনি গ্যাস ভর্তির কাজগুলিকে প্রশাসনের বন্ধ করা দরকার। এটাও ঠিক যারা একাজ করছেন তারা শুধুমাত্র পেটের দায়ে করছেন । বাজারের জিনিষের দাম অগ্নিমূল্য হওয়াতে সংসার চালাতে হীমশীম খাচ্ছেন অনেকেই, তাই তারা অধিক মুনাফা লাভের আশায় এই কাজ করছেন। আসলে সর্বোপরি সরকারকে অর্থনৈতীক ব্যবস্থা ও দ্রব্যমুল্যের সঠিক ভাবে নিয়ত্রন করা দরকার।’