মঙ্গলবার   ১৯ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৪ ১৪৩১   ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মহিলা ও তাঁর দুই মেয়েকে গলায় ছুরি মেরে ছিনতাইয়

হক নাসরিন বানু

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৮:৩২ পিএম, ৩১ মার্চ ২০১৯ রোববার

মালদা—


এক মহিলা ও তাঁর দুই মেয়েকে গলায় ছুরি মেরে ছিনতাইয়ের ঘটনার ঘটল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার মালদা গৌড় মালদা স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। আহত  ও তাঁর দুই মেয়ে বর্তমানে মালদা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জানা গেছেশুনুন সেলেনুর আহত র নাম সেলেনুর বিবি (৩২)। বাড়ি মালদা কালিয়াচক থানার আলিনগরের চামাগ্রাম ঢাকায়। স্বামী শাহজাহান শেখ ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। সেলেনুর বিবির বড় মেয়ে তুহিনা পারভিনের মুখে একটি ক্ষত দেখা দিয়েছিল। তার চিকিৎসার জন্য সেলেনুর দুই মেয়ে ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কলকাতায় মেয়ের চিকিৎসা করাতে যাচ্ছিলেন। একটি লোকাল ট্রেনে তাঁরা ফরাক্কা পৌঁছন। সেখান থেকে তাঁদের কলকাতার জন্য ট্রেন ধরার কথা ছিল। পরিবারের লোকজন ট্রেনে উঠে পড়লেও সেলেনুর ও তাঁর মেয়েরা ট্রেনে উঠতে পারেননি। দুই মেয়েকে নিয়ে ফরাক্কা স্টেশনে ঘোরাঘুরি করতে থাকেন।সেলেনুর জানান, সেই সময় এক যুবকের সঙ্গে তার দেখা হয়। সে তার পূর্ব পরিচিত। তবে, নাম জানেন না। ওই যুবক তাঁকে জানায় সে নিজে কালিয়াচক যাচ্ছে। তাঁদের খালতিপুর স্টেশনে নামিয়ে দেবে। কিন্তু খালতিপুর স্টেশন পেরিয়ে গেলেও সে কিছু জানায়নি। পরে গৌড় মালদা স্টেশনে নিয়ে আসে। সেখান থেকে বাসে তুলে দেওয়ার নাম করে একটি বাগানে নিয়ে যায়। সেলেনুরের কাছে টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে সেলেনুর বিবির সঙ্গে থাকা সাড়ে সাতশো টাকা ও সোনার আংটি ছিনিয়ে নেয়। কান থেকে দুল ছিনিয়ে নেয়। টানাটানিতে ওই যুবক তাঁর গলায় ছুরি চালিয়ে দেয়। মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে কাঁদতে শুরু করে দুই মেয়ে। কান্না থামাতে তাদের গলাতেও কোপ দেয় ওই যুবক। স্থানীয়দের আওয়াজ পেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবক। এরপর স্থানীয়দের সাহায্যে সেলেনুর দুই সন্তানকে নিয়ে মালদা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে পৌঁছন। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন তাঁরা।খবর পেয়ে রবিবার বোন ও দুই ভাগনিকে দেখতে মালদা মেডিকেলে আসেন দাদা তাহিদুর শেখ। তিনি জানান, বোনের মুখ থেকে ঘটনার কথা শুনেছেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হতে চলেছেন। ইংরেজবাজার থানার পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পাওয়ার পর অবশ্যই তদন্ত শুরু হবে।