শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ৩০ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলপাইগুড়িতে আগুনে ভস্মীভূত

পুষ্প প্রভাত প্রতিবেদক

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৪:০০ পিএম, ১৭ মার্চ ২০১৯ রোববার

জলপাইগুড়ি

বিদ্যুৎ সর্ট সার্কিট থেকে আগুনে ভস্মীভূত হল একটি বাড়ি। ঘরের ভিতরে থাকা এক বৃদ্ধা আগুন লেগে হাসপাতালে ভর্তি হলেন। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া ঝা বাড়ি মোড়ের রায় পাড়াতে। ওই বাড়ি থাকতেন এক বৃদ্ধা ও বৃদ্ধ। অভাবের সংসারে ঘর বাড়ি সব পুড়ে ছাই। ঘরে রাখা সবল সাড়ে তিন হাজার টাকাও পুড়ে ছাই হয়ে গেল। স্থানীয় ও দমকলের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। 

এদিন দুপুরে ওই বাড়ির মালিক অনিল বর্মন কুয়ো পাড়ে যায় জল তুলতে। সেই সময় তার সত্তর বয়স্ক ছুই ছুই স্ত্রী টগর বালা বর্মণ ঘরেই ছিলেন। হঠাৎ ঘরে দিকে তাকিয়ে দেখতে পান দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। সেই সময় ঘরে স্ত্রী চিৎকার করছিলেন। শুকনো আবহাওয়া থাকায় মহুতের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এরপর স্থানীয়রা ছুটে আসেন। কুয়ো থেকে জল দেওয়া হলেও আগুন নিয়ন্ত্রনে আসেনি। দমকলের দুটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়। যদিও ঘরের কোন কিছুই বাঁচাতে পারেনি দমকল বিভাগ। আধার আড, বাড়ির দলিল সহ বস কিছুই আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। ঘরের মধ্যের থাকা বৃদ্ধকে বেড়ে ভেঙে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। ওই বৃদ্ধার শরীরে বিভিন্ন জায়গা পুড়ে গেছে। তাকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। বাড়ির দুয়ারে দুয়ারে কির্তন করে কোন রকমে সংসার চলত তাদের। আজ মাথা গোজাও ঠাই নেই। খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন এই গবীর পরিবারটি। স্থানীয়রা সাহায্য উঠিয়ে পরিবারের পাশে থাকায় আশ্বাস দিয়েছে। জানা গেছে অনিল বর্মনের দুই ছেলে রয়েছে। শ্রমিকের কাজ করেন একজন ময়নাগুড়ি অপর আরেক জন শিলিগুড়ি। দুজনই বাড়ি ভাড়া করে কর্মস্থলে থাকেন।

অনিল বর্মন বলেন," কি ভাবে আগুন লাগল বুঝতে পারিনাই৷ হঠাৎ আগুন লেগে সব শেষ৷ সাহায্যের আবেদন জানাই সকলের কাছে। পড়নের গামছা ছাড়া কিছুই নেই সব পুড়ে গেছে। 

স্থানীয় বাসিন্দা জানান, আগুন লেগেছে খবর পেয়ে ছুটে এসেছি। জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও আগুন নেভানো যায়নি। এক বয়স্ক বৃদ্ধা আগুনে পুড়ে আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী দীলিপ মিত্র খবর পেয়ে ছুটে আসেন। তিনি সকলের কাছে সাহায্যের আবেদন জানানোর পাশাপাশি গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে জানাবেন বলেন জানালেন।