মালদায় তৃতীয় দফায় ভোট, পৌঁছে গেল আধা সামরিক বাহিনী
হক নাসরিন বানু
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৯:২০ পিএম, ১৬ মার্চ ২০১৯ শনিবার
মালদা জেলায় তৃতীয় দফায় ভোট তার আগেই মালদায় পৌঁছে গেল এক কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী । লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণা হলেও এখনো বিজ্ঞপ্তি জারি করে নি নির্বাচন কমিশন। শনিবার সকালে বিএসএফের এক কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী মালদা শহরে এসে পৌঁছায় । তাদের রাখা হয়েছে মালদা শহরের ঝলঝলিয়া এলাকার রেলওয়ে ইনস্টিটিউটে। ইংরেজবাজার থানার ভারত - বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মহদীপুর এলাকায় রুটমাচ করেন বিএসএফ জওয়ানেরা । সঙ্গে ছিলেন জেলা পুলিশের আধিকারিকেরা।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অরিন্দম সরকার জানিয়েছেন, শনিবার এক কোম্পানি বিএসএফ মালদায় এসেছে। তারা এদিন মহদীপুর এলাকায় রুটমার্চ করেছে। জেলায় কত কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে তা নিয়ে তেমন কোন নির্দেশ আসে নি। রীতিমতো কেন্দ্রীয় বাহিনী কত আসবে তা নিয়েও ধন্দে রয়েছে জেলা প্রশাসনিক কর্তারা। প্রতিটি কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে তা বলতে গেলে নিশ্চিত। সেই অর্থে জেলায় ১৫০ কোম্পানির ওপর কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার কথা রয়েছে।জেলা পুলিশের এক আধিকারিকের কথায়, মালদা জেলায় দুটি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ২৯১৮। সব কেন্দ্রেই যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকে তাহলে ১৭০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার কথা। কিন্তু কত কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে সেরকম তথ্যও জেলা প্রশাসনের কাছে এসে পৌঁছায় নি। মালদা জেলায় স্পর্শকাতর' বুথের সংখ্যা এখনো পর্যন্ত ২৪টি বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য । তবে এর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। জেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২৮ লক্ষ ২৫ হাজার ৯ জন। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে মালদায় মোতায়েন করা হয়েছিল ৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই তুলনায় এবারের লোকসভা ভোটে কয়েকগুণ বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে বলে ধরে নিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা।এদিন বিকেলে মহদিপুর এলাকায় রুটমার্চ করেন বিএসএফ জওয়ানেরা । সঙ্গে থাকা জেলা পুলিশের আধিকারিকেরা সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, ভোটের দিন যাতে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা না হয়। এলাকার মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন। তার জন্য এই রুটমার্চের ব্যবস্থা করা হয়েছে । এদিন মহদীপুরে পুকুর দখলকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই বোমাবাজির কারণে উত্তপ্ত হয়েছিল এলাকা। বিকালে বিএসএফ জওয়ানদের রুটমার্চের ফলে পরিস্থিতি খানিকটা স্বাভাবিক হয়।