লটারির ব্যবসা বন্ধ করে অনেকেই অন্য পেশা
পল মৈত্র
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৭:২৯ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শনিবার
দক্ষিণ দিনাজপুর
জেলার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরলে দেখা যায় রাস্তার ধারে টেবিলে লটারি টিকিট সাজিয়ে বহু বিক্রেতা বসে আছে।আবার কেউ কেউ আছে হাতে টিকিট নিয়ে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করে।এই বিক্রেতার সংখ্যা কম নয়।প্রতিদিন সকাল দুপুর সন্ধ্যা তিনবার খেলা হয়।রেজাল্ট আসার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতা বিক্রেতাদের ভিড় লেগে যায়।কেউ প্রাইজ পায় আবার কেউ পায়না।সম্প্রতি প্রাইজ না পাওয়া লোকের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।টিকিট বিক্রীর চাহিদাও পড়তির দিকে।এইরকম পরিবেশে লটারির টিকিট বিক্রেতার পেশা ছাড়ছেন বহু মানুষ।টিকিট বিক্রীর পেশা ছেড়ে টোটো চালক,চপ ঘুগনি ও ফাস্ট ফুডের পেশা ধরছেন।
টিকিট বিক্রেতাদের অভিযোগ,অবিক্রিত ফিরিয়ে দেওয়া টিকিটে প্রাইজ উঠছে।বিক্রিত টিকিটে প্রাইজ নেই।ফলে টিকিটের চাহিদাও কমে গেছে।সুত্রের খবর জেলা জুড়ে প্রায় কয়েক হাজার টিকিট বিক্রেতা রয়েছে।প্রতিদিন কয়েক লক্ষ টাকার টিকিট বিক্রি হয়।অথচ কোথায় খেলা হয় কিভাবে খেলা হয় তার খবর বেশিরভাগ বিক্রেতা জানেন না।তবু জীবিকার তাগিদে টিকিট বিক্রি চলছে।এ প্রসঙ্গে বুনিয়াদপুরের টিকিট বিক্রেতা ও এজেন্ট সঞ্জয় কবিরাজ বলেন,বিক্রেতাদের অভিযোগ ঠিক নয়।প্রতিটি রাজ্যে বিক্রিত টিকিটে নিয়ম মেনে খেলা হয়।পুরস্কারাও পাওয়া যায়।খেলায় কোনো জালিয়াতি হয়না নিয়ম মেনে খেলা হয়।খবরের কাগজে ফল ঘোষনা হয়।সামগ্রিকভাবে দেকা গেছে আগে যে টিকিট বিক্রীর চাহিদা ছিল তা বর্তমানে কমেছে।স্বাভাবিকভাবে বাজার পড়তির দিকে।কোটি কোটি টাকার এই খেলার সব মাধ্যমে প্রকাশ করার দাবি করেছে বহু মানুষ।