মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কলেজ অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক গানের নিন্দা

রাহাতুল আক্তার বড়ভূইয়া

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৬:৫৫ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার

এস এস কলেজ অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক গানের নিন্দা ছাত্র সমিতির

এস এস কলেজ অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক গানের নিন্দা ছাত্র সমিতির

গুয়াহাটি

শ্রী কিষান সারদা কলেজ শুধু হাইলাকান্দি নয় গুটা বরাক উপত্যকার মধ্যে এক ঐতিহ্যবাহী ও সুমর্যাদাসম্পন্ন কলেজ তা সকলেই জানতো, কিন্তু গত স্বরস্বতী পূজার দিনে কলেজের এক অনুষ্ঠানে  কিছু সাম্প্রদায়িক শক্তি একটি গান পরিবেশনের মাধ্যমে হাইলাকান্দি তথা বরাক উপত্যকার শান্তিকামী পরিবেশকে অগ্নিগর্ভ করতে উঠে পড়ে লেগেছে এবং তার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবারে গর্জে উঠলো আম আদমি পার্টির ছাত্র সংগঠন ছাত্র যুব সংগ্রাম সমিতির হাইলাকান্দি জিলা কমিটি।তাদের অভিযোগ, গান পরিবেশনের সময় কলেজ কর্তৃপক্ষ কোথায় ছিলো? তার কেনো ওদেরকে বাধা দিলো না? না কলেজ কর্তপক্ষও তাতে সামিল আছে?
          উল্লেখ্য, গানের মধ্যে এমন কয়েকটি বিষাক্ত কথা আছে যা কোনো কালে কোন যুগে ভারতবর্ষের মতো একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশে গ্রহনযোগ্য নয়। কারন কোনো ধর্মের ধর্মগ্রন্তে লিখা নেই যে এক ধর্ম অন্য ধর্মকে আঘাত করো।গানের মধ্যে উল্লেখ ছিলো "ভারত কি হর মোল্লা মৌলভী জয় জয় শ্রীরাম বলেগা"। একথাগুলো বলে আলগাপুর বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে গর্জে উঠেন আম আদমি পার্টির ছাত্র শাখা ছাত্র যুব সংগ্রাম সমিতির বরাক পর্যবেক্ষক তথা হাইলাকান্দির জিলা সভাপতি আনোয়ারুল হক মজুমদার।তিনি আরোও বলেন, আমরা স্কুল কলেজে যাই পড়াশুনা করে মানুষ হয়ে দেশকে উন্নতির নতুন দিশা দেখাতে, কিন্তু কিছু বিভেদকামী দল-সংগঠন চায় শুধুমাত্র অশান্তি এবং ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টি করা এবং তা ছাত্র সমাজের মধ্যে এমন আচরণ কখনও কাম্য নয়, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। সর্বশেষে সভাপতি আনোয়ার হুসেন বলেন, জিলাশাসক বা কলেজ কর্তৃপক্ষ ওদের বিরুদ্ধে যদি বিহীত ব্যবস্তা না নেয় তাহলে অগ্নিগর্ভ হয়ে পড়বে হাইলাকান্দি। তখন যদি আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয় তবে তার পুরো দায়িত্ব গ্রহন করতে হবে কলেজের অধ্যক্ষ এবং জিলা পুলিশ প্রশাসনকে।সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিলচর ও করিমগঞ্জ থেকে আগত সংগঠনের দুই কর্মকর্তা যথাক্রমে রুহিত আলম বড়ভূইয়া এবং সাহিদ আনেয়ার প্রমূখ।