আর্থিক অনটন ঘোচাতে কিডনি বিক্রি
শঙ্কর গুপ্তা
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৮:৫৬ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার
কিডনি পাচারকারির সঙ্গে যোগাযোগ করে কিডনি বিক্রি করছে
কিডনি পাচারে নতুন নাম রায়গঞ্জ ব্লকের রারিয়া গ্রাম। এই গ্রামের আর্থিক অনটন ঘোচাতে কিডনি বিক্রি করছে।গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে পঞ্চায়েত সমিতি সকলের অগচরেই চলছে এই কারবার।পরিবারের অন্য সদস্যরা এই কাজে স্বামীদের মদত দিচ্ছেন।
কিডনি পাচারে একসময়ে সংবাদ শিরনামে ছিল রায়গঞ্জ ব্লকের বিন্দোল গ্রাম।কিডনি পাচারের মূল পান্ডা রেজ্জাক এখন এই পেশা অনেকটা দূরে সরে আছেন।সম্প্রতি নজরে আসে রায়গঞ্জ ব্লকের রারিয়া গ্রাম।এই গ্রামের বেশ কয়েক আর্থিক অনটন ঘোচাতে স্বেচ্ছায় কিডনি বিক্রি করছে।কলকাতার কোন এক কিডনি পাচারকারির সঙ্গে যোগাযোগ করে কিডনি বিক্রি করছে।হাতে দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা আসায় মেয়ের বিয়ে,নির্নীয়মান অসামপ্ত বাড়ি তৈরী করছেন।এছাড়াও সেই টাকা দিয়ে একটি টোটো কিনে উপার্জন করছেন।রারিয়া গ্রামের মানিক বর্মন, মংলু রায়,রতিকান্ত বর্মন এবং ভূপেন রায় কিডনি দিয়েছে বলে জানা গেছে।এই ঘটনা নজরে আসার পর তাদের সংগে যোগাযোগ করা হলে আইনের বেরাজালের ভয়ে তারা কেউ ক্যামেরার সামনে আসতে চাইছেন না।আজ আচমকায় ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে রাজী হলেন মানিক বর্মন।তার ভাইপোর মাধ্যমেই সে কিডনি বিক্রি করে।হাতে পেয়েছেন মাত্র দুই লক্ষ টাকা।সেই টাকা দিয়ে মেয়ে পড়াশুনার খরচ চালানো এবং টোটো কিনে অর্থ উপার্জন করছেন।রারিয়াতে পাওয়া গেল মংলু রায়কে।তিনিও কিডনি বিক্রি করছেন।হাতে পেয়েছেন তিন লক্ষ টাকা।সেই টাকা দিয়ে মেয়ের বিয়ে, অসামাপ্ত বাড়ি সম্পূর্ন করা এবং একটি টোটো কিনে অর্থ উপার্জন করে সংসার চালাছেন মংলু রায়।তার স্ত্রী সুমিত্রা রায় জানিয়েছেন স্বামীর কাজে তিনি সহমত।এই টাকা না পেলে মেয়ের বিয়ে দেওয়া সম্ভব হত না।পরিস্থিতি তৈরী হলে তিনি কিডনি বিক্রি করতে রাজী আছেন বলে ক্যামেরার সামনে ঘোষনা করলেন সুমিত্রাদেবী।বরুয়া গ্রামপঞ্চায়েত সদস্যা সুচিত্রা বর্মন জানিয়েছেন,ঘটনাটি লোক মারফত জেনেছেন।তবে তার কাছে অভিযোগ করে নি।গ্রামপঞ্চায়েতে সদ্য নির্বাচিত হয়েছেন।এখন অনেক কাজ বুঝে নিতেই পারেন নি।রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি মানস ঘোষ জানিয়েছেন,বিষয়টি নিয়ে তিনি জেলা শাসকের সংগে আলোচনা করবেন।কিডনি বিক্রি বন্ধ করতে প্রশাসনের সাথে আলোচনা করবেন