বৃহস্পতিবার   ১৪ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ৩০ ১৪৩১   ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের দুটি স্টপেজ বরাদ্দ বীরভূমে

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০১:৫৪ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ রোববার

অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের দুটি স্টপেজ বরাদ্দ বীরভূমে

অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের দুটি স্টপেজ বরাদ্দ বীরভূমে

অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাপথে রামপুরহাট রেল স্টেশনে উলুধ্বনি, শঙ্খ বাজিয়ে ও ফুল ছিটিয়ে স্বাগত জানালো রামপুরহাটবাসী। শনিবার বেলা বারোটা নাগাদ মালদা - ব্যাঙ্গালুরু অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা শুরু হয় মালদা রেল স্টেশন থেকে। বেলা ২ টো ১৩ মিনিট নাগাদ রামপুরহাট রেল ষ্টেশনে প্রবেশ করে অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটি।নতুন এই ট্রেনটি রামপুরহাট রেল ষ্টেশনে প্রবেশ করতেই ষ্টেশনে উপস্থিত মানুষজনের মধ্যে উল্লাস শুরু হয়। শুরু হয় উলু ও শঙ্খধ্বনি। ট্রেনের উপরে ছেটানো হয় ফুল। ট্রেনের চালক ও যাত্রীদের হাতে দেওয়া হয় পুষ্পস্তবক। অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে স্বাগত জানাতে রামপুরহাট রেল ষ্টেশনে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলের হাওড়া ডিভিশনের বিভিন্ন আধিকারিক, দুবরাজপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা সহ রামপুরহাট এলাকার বিভিন্ন মানুষজন।
 ৩০ শে ডিসেম্বর তথা বছরের শেষ লগ্নে দু'টি 'অমৃত ভারত' ট্রেনের উদ্বোধন হয়। যার মধ্যে একটা পাচ্ছে মালদা।আর সেই ট্রেনটি বন্দে ভারত ট্রেনের উদ্বোধনের প্রথম দিনের মতোই এসে দাঁড়ায় বীরভূমের রামপুরহাটে।এই ট্রেনটি জেলার দুই মহকুমা শহর তথা রামপুরহাট ও বোলপুর- শান্তিনিকেতনের জন্য স্টপেজ বরাদ্দ করা হয়েছে।রেল যাত্রীদের সুবিধার্থে, অত্যাধুনিক এবং বিশ্বমানের সুবিধা যুক্ত সুসজ্জিত ২টি 'অমৃত ভারত' ট্রেন এবং ৬টি বন্দে ভারত ট্রেন উদ্বোধন হয়। এর মধ্যে একটি দারভাঙ্গা-অযোধ্যা-আনন্দ বিহার টার্মিনাল 'অমৃত ভারত' এক্সপ্রেস এবং অন্যটি মালদা টাউন-এস.এম. বিশ্বেশ্বরায়া টার্মিনাস (বেঙ্গালুরু) 'অমৃত ভারত' এক্সপ্রেস অন্তর্ভুক্ত।উল্লেখ্য বাংলা পাচ্ছে প্রথম অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন।এদিন মালদা স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করছে অমৃত ভারত এক্সপ্রেস, যাহা ৪২ ঘন্টায় বেঙ্গালুরু পৌঁছাবে এই ট্রেন।এর ফলে উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষের সুবিধা হবে।বিশেষ উল্লেখ্য ভালো চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার লক্ষ্যে জেলা সহ রাজ্যের বেশিরভাগ মানুষ বেঙ্গালুরুর উপর নির্ভরশীল।এনিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কে কটাক্ষ করে বলেন,রাজ্যে স্বাস্থ্যের বেহাল দশা। তাইতো মানুষজন বেঙ্গালুরু ছুটে যান সুচিকিৎসার আশায়।মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো তো ভারতবর্ষের  চিকিৎসা ব্যবস্থায় আস্থা না রেখে দুদিন অন্তর সরাসরি বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করান, অথচ দেশের মধ্যে বেঙ্গালুরুতে ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে।এই রেল পরিষেবা প্রদানের ফলে রাজ্যের যেসমস্ত মানুষ সরাসরি বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসা করাতে যান এবং বহু বেকার যুব সম্প্রদায় সহ অনেকে রাজ্যে কর্মসংস্থান না থাকায় বেঙ্গালুরুত যান কাজের উদ্দেশ্যে তাদের কাছে খুবই সুবিধা হযেছে ট্রেনটি চালু হওয়ার ফলে।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূরদর্শীতার পরিচয়ে এবং রেল মন্ত্রীর সদিচ্ছায় এই রেল পরিষেবা যা বাংলার মানুষ উপকৃত হবেন।