শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ৩০ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

উর্দিধারীর গানে মজলেন দর্শকেরা

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৭:৫১ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০২৩ সোমবার

উর্দিধারীর গানে মজলেন দর্শকেরা। পুজোয় আইন শৃঙ্খলা সামলে ডিউটির ফাঁকে হাতে মাইক্রোফোন নিয়ে গান গাইলেন পুলিশের এক এএসআই। তাঁর গানে রীতিমতো মুগ্ধ হলেন দর্শকাশনে বসে থাকা আট থেকে আশি। একের পর এক গান গাওয়ার অনুরোধ আসল দর্শকদের থেকে। মালদহের হবিবপুর থানায় কর্মরত এএসআইয়ের গান গাওয়ার ভিডিও এখন সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল। 
গান গেয়ে  মানুষের মন ছুঁলেন তিনি। পুলিশের কাজের চাপ সামলেও যে প্রতিভার প্রকাশ পায় তাঁর দৃষ্টান্ত এএসআই বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী। এই প্রথম নয়, মাঝে মাঝেই তিনি নিজের গাওয়া গান সোশ্যাল মাধ্যমে পোষ্ট করেন। তবে পুজোর অনুষ্ঠান মঞ্চে উর্দি পড়ে গানের ভিডিও যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটে বাড়ি রাজ্য পুলিশের এএসআই বৈদ্যনাথ চক্রবর্তীর । ছোট বেলা থেকেই গানের প্রতি আগ্রহ রয়েছে। পরিবারের অনেকেই গান বাজনার সঙ্গে জড়িত। সেখান থেকেই গানের প্রতি আগ্রহ। চাকুরী পাওয়ার আগে প্রায় ছয় বছর গান শিখেছেন। সেই সময় নিয়মিত গান গাইতেন, অনুষ্ঠান করতেন। তবে পুলিশের চাকরিতে যোগদানের পর গানের রেওয়াজ ছাড়তে হয়েছে। কাজের চাপে এখন আরো সম্ভব হয়ে ওঠেনা গানের রেওয়াজ। তবে কাজের ফাঁকে যেটুকু সময় পান অবসর সময়ে নিজে নিজে গুনগুন করে এখনো গান করেন তিনি। কারণ গান তাঁর ভালো লাগে। তাই গান গাওয়া ছাড়তে পারছেন না তিনি। বাড়িতে বসে নিজের ভাঙা গলায় গুনগুন করে গাওয়া গান মাঝে মধ্যে সোশ্যাল মাধ্যমে পোস্ট করেন। সেখান থেকেই অনেকে জানেন তিনি ভাল গান করেন। দুর্গাপুজোর সময় হবিবপুর ব্লকের আইহো এলাকায় পুজোর ডিউটি করছিলেন। সেই সময় স্থানীয় একটি পুজো মণ্ডপে যান। সেখানেই উদ্যোক্তারা তাঁকে গান করার অনুরোধ করেন। উদ্যোক্তাদের কথায় মঞ্চে উঠে গান করেন। পরপর তিনটি গান করেন তিনি। রেওয়াজ না করলেও তার গানের গলায় মুগ্ধ হন উপস্থিত দর্শকেরা। এমনকি আরো গান করার অনুরোধ করেন।
এসআই একজন পুলিশ কর্মী হলেও তাঁর নেশা গান গাওয়া। তাইতো শত ব্যস্ততার মাঝেও ভুলতে পারেননি গানের কলি। অবসরের পর তিনি গান গেয়েই সময় কাটাতে চান।