সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুর্শিদাবাদের ঐশী

জাতীয় শিশু বিজ্ঞানে ক্ষুদে বিজ্ঞানী

ফারুক আহমেদ

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৫:০৫ পিএম, ৮ জানুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার

ওড়িশার ভুবনেশ্বরে SOA University তে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় ঐশী হিয়া

ওড়িশার ভুবনেশ্বরে SOA University তে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় ঐশী হিয়া

ঐশী হিয়া বহরমপুর মহারানী কাশীশ্বরী গার্লস হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। এবছর ভারত সরকারের ব্যবস্থাপনায় "২৬ তম জাতীয় শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেস ২০১৮"র মূল বিষয়(Focal Theme) " Science, Technology and Innovation of Clean, Green and Healthy Nation' এই বিষয়ের আলোকে ঐশী হিয়ার গবেষণাধর্মী প্রজেক্ট এর বিষয় ছিল"A critical study on modern technique for seedlings of various types of trees."

প্রথমে প্রতিটি জেলায় বাছাই করা স্কুলগুলি থেকে আগত বিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণাধর্মী প্রজেক্ট নিয়ে প্রতিযোগিতা হয়। সারাবাংলা থেকে মোট 200 টি প্রজেক্ট রাজ্য স্তরের জন্য মনোনীত হয়। রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিষয়ের অধ্যাপক অধ্যাপিকা ও বিজ্ঞানীগণ। গত ১৭-১৮ নভেম্বর, ২০১৮  কলকাতার হেয়ার স্কুলে রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও কারিগরী দপ্তরের মন্ত্রী  শ্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর ভাষণে মন্ত্রী বলেন,"এই ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের গবেষণা ও পঠন-পাঠনের বিষয়ে সরকার সর্বদা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে। রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে বিভিন্ন বিষয়ের উপর মোট তিরিশটি গবেষণাধর্মী প্রজেক্ট জাতীয় স্তরের এর জন্য মনোনীত হয়েছে।

মুর্শিদাবাদ জেলার একমাত্র প্রতিনিধি ঐশী হিয়া আগামী ২৭-৩১ ডিসেম্বর,২০১৮ ওড়িশার ভুবনেশ্বরে SOA University তে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা জানান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দেশের তাবড় বিজ্ঞানীরা ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের উদ্যোগে এবং পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও কারিগরী দপ্তরের ব্যবস্থাপনায় প্রতিবছর আগামীদিনের প্রতিভা অন্বেষণের জন্য এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। চূড়ান্ত প্রজেক্ট গুলিকে ভারত সরকারের তরফ থেকে পেটেন্ট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

ঐশী হিয়ার জন্ম ও বেড়ে ওঠা মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকলে। পিতা মহবুব আলম পেশায় স্কুল শিক্ষক, মা হুসনে আরা জেসমিন গৃহবধূ। উভয়ে়ই মেয়ের এই সাফল্যে ভীষণ খুশি। ঐশীর গাইড টিচার মহারানী কাশীশ্বরী গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষিকা  সুস্মিতা পাল। মূলত তাঁরই উৎসাহ ও তত্ত্বাবধানে এই প্রজেক্ট। ঐশীর সাফল্যে খুশি বিদ‍্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা চৈতালি ভট্টাচার্য। প্রজেক্ট গাইড সুস্মিতা দেবী বলেন, "আমাদের বিদ্যালয় এর ছাত্রী ঐশী হিয়া বাংলার প্রতিনিধিত্ব করতে জাতীয় স্তরে যাওয়াতে আমরা ভীষণ খুশি এবং গর্বিত।"
জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতার আগে ২২- ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন দিনের ওয়ার্কশপ চলছে কলকাতার সেবাকেন্দ্রে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অভিজ্ঞ গবেষক ও মেন্টর গণ।