শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ৩০ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অবৈধ ভাবে জমি দখলকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা, ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারধরের অভিযোগ, পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার অভিযোগ,

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৫:৪৮ পিএম, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার

অবৈধ ভাবে জমি দখলকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা, ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারধরের অভিযোগ, পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার অভিযোগ, অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারী দুই পক্ষই তৃণমূলের,গ্রেফতার ১, আক্রান্তের পাশে দাঁড়িয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের আর্জি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের,খোঁচা বিজেপির

মালদা;আব্দুল রাজীব;০৭ফেব্রুয়ারী: জমি দখলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা। সাধারণ গরীব মানুষের জমি অন্যায় ভাবে দখলের অভিযোগ প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারধরের অভিযোগ। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে পুলিশের গাড়িতে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারী দুইপক্ষই তৃণমূলের সাথে যুক্ত। যদিও এই ঘটনাকে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত করতে নারাজ তৃণমূল। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের আর্জি মন্ত্রী তাজমুলের ভাই তথা জেলা তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমানের। সমগ্র ঘটনা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ বিজেপির। ব্যাপক উত্তেজনা এলাকায়। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত বাংরুয়া গ্রামের ঘটনা। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা রমজান আলী। দিন আনে দিন খাওয়া পরিবার। স্ত্রীকে নিয়েই তিনি দীর্ঘ-দিন ভিন রাজ্যে কাজ করেছেন। ইচ্ছে ছিল কাজ থেকে টাকা সঞ্চয় করে ভালো বাড়ি করবেন। গ্রামে তার পৈত্রিক জায়গায় পুরনো বসতভিটা ভেঙে বাড়ির কাজ শুরু করেছিলেন। বাড়ির কাজ শুরু করতেই জায়গার সীমানা নিয়ে তার বিবাদ শুরু হয় প্রতিবেশী আব্দুল মান্নান এবং তার পরিবারের সঙ্গে। অভিযোগ উপযুক্ত দলিল পত্র থাকা সত্ত্বেও আব্দুল মান্নান জোর করে জায়গা দখলের চেষ্টা করে। পুরনো জাল দলিল দেখিয়ে হুমকি দেয়। এমনকি ভূমি সংস্কার দপ্তরে গিয়ে কারচুপি করে বলেও অভিযোগ। রমজান আলী বাধা প্রদান করে নিজের জায়গা বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাকে বারংবার আক্রমণ করা হয়। তাদের নামেই মামলা করার হুমকি দেয় অভিযুক্তরা। পুলিশের নিষেধ সত্ত্বেও অভিযুক্তরা বলপূর্বক জমিতে প্রবেশের চেষ্টা করলে বিবাদ চরমে ওঠে। রমজান আলী এবং তার স্ত্রী শেফালী খাতুনকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে অভিযুক্তরা পুলিশকেও আক্রমণ করার চেষ্টা করে। পাথর ছুড়ে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুররের চেষ্টাও করা হয়। যদিও তেমন কোন ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। সমগ্র ঘটনায় আব্দুল মান্নান সহ ১২ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়। এখনো পর্যন্ত এক জনকে গ্রেপ্তার করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। জমি বিবাদের জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য মন্ত্রীর এলাকায়। সমগ্র ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূল কর্মীরাই তাদের নিজেদের জমি রক্ষা করতে পারছে না খোঁচা বিজেপির। এই ঘটনায় রাজনীতি জড়িত না দাবি তৃণমূলের। আক্রান্তদের পাশে দাঁড়িয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেনের ভাই তথা জেলা তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমানের। তৃণমূল নেতাদের দাবি অভিযুক্তদের জন্য সমস্ত এলাকা সন্ত্রস্ত।

প্রসঙ্গত হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় জমি বিবাদ বা জমি মাফিয়াদের দৌরাত্ম কোন নতুন ঘটনা নয়। অতিতেও বহুবার দেখা গেছে জমি বিবাদের জেরে শিরোনামে উঠে এসেছে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায়। প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সাধারণ মানুষের জমি অন্যায় ভাবে দখল করার। এবার খোদ মন্ত্রীর এলাকায় এই ঘটনা। প্রশাসন এক্ষেত্রে কি পদক্ষেপ নেয় সেই দিকেই তাকিয়ে সকলে।