দার্জিলিংয়ের মিষ্টি ও সুস্বাদু কমলালেবুর স্বাদ থেকে এবছর প্রায় অধরাই রয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুরবাসী।
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৬:০৮ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ বুধবার
ঠান্ডার কামড়ে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় পাহাড়ের কমলা প্রায় নেই
দক্ষিণ দিনাজপুর : দার্জিলিংয়ের মিষ্টি ও সুস্বাদু কমলালেবুর স্বাদ থেকে এবছর প্রায় অধরাই রয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুরবাসী। প্রসঙ্গত, বংশীহারীতে এবছর দার্জিলিংয়ের কমলালেবুর জোগান কম হওয়ায় সেই স্থান দখল নিয়েছে নাগপুর ও পাঞ্জাবের কমলালেবু। আমজনতা একপ্রকার বাধ্য হয়েই নাগপুর ও পাঞ্জাবের অম্লটক যুক্ত কমলালেবু কিনে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাচ্ছেন। যদিও বা কোনও ফলের দোকানে দার্জিলিংয়ের কমলালেবুর দেখা মিলছে, কিন্তু অত্যাধিক দামের কারণে ক্রেতাকে পিছিয়ে আসতে হচ্ছে। বিক্রেতারা একটু ভালো আকারের দার্জিলিংয়ের কমলালেবুর দাম হাঁকাচ্ছেন কেজি প্রতি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। বাধ্য হয়ে অনেকেই ৭০ টাকা কেজি দরে নাগপুর ও পাঞ্জাবের কমলালেবু কিনছেন। জেলার
বুনিয়াদপুরের ফল বিক্রেতা সুরঞ্জন বলেন, ভালো ফলন না হওয়ায় দাম আর কমবে না। তবে এবছর দার্জিলিংয়ে বরং বাড়বে।” কমলালেবুর ফলন কম হওয়ার সামান্য পরিমাণ কমলালেবু বাজারে আসছে। যেটুকু আসছে তার দামও আকাশছোঁয়া। আমরা সেই কমলালেবু খুব কম লাভ রেখে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি করছি। অবস্থাসম্পন্ন ব্যক্তিরাই একমাত্র দার্জিলিংয়ের কমলালেবু কিনছেন। অন্যদিকে নাগপুর পাঞ্জাবের কমলালেবু প্রচুর পরিমাণে বাজারে আসছে। তবে বর্তমানে নাগপুরের চাইতে পাঞ্জাবের কমলালেবুর জোগান বেশি। দামও অনেক কম। মাত্র ৭০ টাকা প্রতি কেজি। বেশিরভাগ লোক অগত্যা নাগপুর ও পাঞ্জাবের কমলালেবু অপেক্ষাকৃত কম দামে কিনছেন। আমরা ভেবেছিলাম কয়েকদিন পরে পর্যাপ্ত পরিমাণে দার্জিলিংয়ের কমলালেবু বাজারে আসলে দাম কমবে। কিন্তু সে গুড়ে বালি। শুনেছি এবছর উৎপাদন খুবই কম রয়েছে। এ বিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর
দৌলতপুরের ব্যবসায়ী অভিজিৎ সাহার কথায়, 'দার্জিলি কমলালেবুর উৎপাদন কম হয়েছে একথা একদম ঠিক না। অনেক ব্যবসায়ী অধিক লাভের আশায় ইচ্ছাকৃত ভাবে নাগপুর ও পারাবের কমলালেবু কিনে বিক্রি করছেন। তবে দার্জিলিংয়ের কমলালেবুর চাইতে পাঞ্জাব ও নাগপুরের কমলালেবুর দাম অনেক কম হওয়ার কারণে আমজনতা সেটাই কিনছেন। এখন নাগপুরের চাইতে পাঞ্জাবের কমলালেবু বাজাবে বেশি আসছে। অবস্থাসম্পন্নরাই দার্জিলিংয়ের কমলালেবু কিনছেন। আমাদের এলাকার বেশিরভাগ নিম্ন আয়ের মানুষজন পাঞ্জাব ও নাগপুরের কমলালেবু কিনছেন। দাম কম হওয়ায় প্রচুর পরিমাণে পাঞ্জাব ও নাগপুরের কমলালেবু আমরা বিক্রি করছি।"