সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফের জমি বিবাদের জেরে উত্তপ্ত এলাকা, তৃণমূল কর্মী বৃদ্ধ দম্পতিকে মারধর এবং খুনের চেষ্টা অভিযোগ কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে,

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৫:৩৯ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ শনিবার

ফের জমি বিবাদের জেরে উত্তপ্ত এলাকা, তৃণমূল কর্মী বৃদ্ধ দম্পতিকে মারধর এবং খুনের চেষ্টা অভিযোগ কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে, ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি, অভিযোগ দায়ের থানায়, কংগ্রেসের দাবি অভিযুক্তরা তৃণমূলে যোগদান করেছে, সমগ্র ঘটনায় তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা

মালদা;;১৭ডিসেম্বর: ফের জমি নিয়ে বিবাদের জেরে উত্তপ্ত এলাকা। পাট্টা জমি নিয়ে বিবাদের জেরে বৃদ্ধ দম্পতিকে মারধর এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগ কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত দম্পতি দীর্ঘ দিনের তৃণমূল কর্মী। স্বামী আহত অবস্থায় এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের স্ত্রীর। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকিরও অভিযোগ। যদিও কংগ্রেসের দাবি অভিযুক্তরা বেশ কিছু বছর আগে তৃণমূলে যোগদান করেছে। পাল্টা তৃণমূলের দাবি অভিযুক্তরা এলাকার প্রভাবশালী কংগ্রেস কর্মী। আক্রান্তরাও জানিয়েছেন অভিযুক্তরা কংগ্রেস করে। সমগ্র ঘটনা নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার রামশিমুল এলাকার বিরুয়া গ্রামের ঘটনা। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা ফায়েদ আলী এবং তার স্ত্রী সাবেরা বিবি। বহু দিন ধরে তৃণমূল করেন। বাম আমলে তারা সরকারের কাছ থেকে ১৫ কাঠা পাট্টা জমি পায়। হত-দরিদ্র দিনমজুর পরিবার। ওই জমি নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে তাদের বিবাদ চলছিল গোমেদ ইকবাল, মুক্তার ইকবাল এবং রহিমের সঙ্গে। যারা ওই এলাকায় কংগ্রেস কর্মী হিসেবে পরিচিত। অভিযোগ ওই জমি জোর করে দখলের জন্য তারা ফায়েদ অলীকে ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছিল। এর আগেও ফায়েদ আলী কে তারা মারধর করে। খুন এবং বাড়িঘর পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দেয়। প্রাণ ভয়ে দিনমজুর ফায়েদ আলী ভিন রাজ্যে চলে যায় কাজ করতে। গ্রামে ফিরে আসতেই ফের শুরু হয় ঝামেলা। অভিযোগ ওই বিবাদের জেরেই শুক্রবার সন্ধ্যে সাড়ে ছয়টা নাগাদ স্থানীয় দুলালের চায়ের দোকানের সামনে রাস্তায় তারা ফায়েদ আলীকে আক্রমণ করে। মারধোর করতে করতে পেটে ছুরি দিয়ে আঘাতের চেষ্টা করে। প্রাণ বাঁচাতে হাত দিয়ে ছুরির আঘাত আটকে দিলেও গুরুতর ভাবে জখম হয় ফায়েদ আলি। তার স্ত্রী সাবেরা বিবি তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে গেলে তাকেও রড লাঠি দিয়ে মারধর করে শাড়ি ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই সময় ওই দম্পতি কোনক্রমে নিজেদের বাঁচিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা ফায়েদ আলীর অবস্থা দেখে তাকে হাসপাতালে ভর্তি নেন। তারপরেই তার স্ত্রী সাবেরা বিবি হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় গোমেদ ইকবাল, মুক্তার ইকবাল, রহিম এবং জালাল উদ্দিনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে এই ঘটনা সামনে আসতেই ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য। আক্রান্ত দম্পতি জানায় অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেস করে। তৃণমূলেরও দাবি তারা প্রভাবশালী কংগ্রেস কর্মী। যদিও পাল্টা কংগ্রেসের দাবি অভিযুক্তরা বেশ কয়েক বছর আগে তৃণমূলে যোগদান করেছে। শাসকদলের মদতেই তাদের এত বাড়বাড়ন্ত। সমগ্র ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। আক্রান্ত দম্পতি অভিযুক্তদের শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। এই মুহূর্তে তারা যথেষ্ট আতঙ্কিত এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। অন্যদিকে মুক্তার ইকবালদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোন রকম ভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।