আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তৃণমূল নেতার ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০১:৩৭ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০২২ বৃহস্পতিবার
মালদাঃ- আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তৃণমূল নেতার ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছবি ভাইরাল হতেই শোরগোল রাজনৈতিক মহলে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে শাসকদল। বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপির। খেলনা বন্দুক বলে সাফাই তৃণমূল নেতৃত্বের। অস্বস্তিতে শাসক শিবির। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত মালিওর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রতিকা আক্তারির স্বামী তথা তৃণমূল নেতা মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ওরফে সেন্টুর বন্দুক হাতে ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়াতে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে বন্দুক হাতে রয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। আর এই ছবি ভাইরাল হতেই শুরু হয়ে গেছে তৃণমূল এবং বিজেপির রাজনৈতিক তরজা। শোরগোল পড়ে গেছে এলাকার রাজনৈতিক মহলে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে মানুষকে ভীত, সন্ত্রস্ত করতে চাইছে তৃণমূল। এর জন্য অস্ত্র মজুত করে দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ। যাতে পঞ্চায়েত ভোটে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে ভোট লুট করতে পারে। এমনটাই অভিযোগ তুলে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ সানিয়েছে বিজেপি। যদিও ওই তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন এই বন্দুক আসল নয়। মেলার খেলনা বন্দুক।একই বক্তব্য শোনা যায় ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বের গলায়। শাসকদলের পাল্টা দাবি বিজেপির পায়ের তলায় মাটি নেই। তাই তৃণমূলকে নিয়ে কুৎসা করছে। সমগ্র ঘটনা নিয়ে চরমে উঠেছে দুই দলের তরজা।
মালিওর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রতিকা আক্তারীর স্বামী তথা তৃণমূল নেতা মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, মেলার খেলনা বন্দুক। বেলুন ফাটানোর জন্য সেটা তিনি নিয়েছিলেন। কেউ ছবি তুলে ভাইরাল করে দিয়েছে। বিজেপির অভিযোগ সত্যি নয়।
হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তবারক হোসেন চৌধুরী বলেন, বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। মমতা ব্যানার্জির উন্নয়ন দেখে মানুষ পঞ্চায়েতে ভোট দেবে। নিজেদের জমি নেই বুঝতে পেরে তৃণমূলের নামে কুৎসা করছে।
উত্তর মালদা জেলা সাংগঠনিক বিজেপির সম্পাদক রূপেশ আগরওয়াল বলেন, শাসকদল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত। সেখানকার পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ছবি ভাইরাল। পঞ্চায়েতে ভোট লুট করবে তার প্রস্তুতি করছে তৃণমূল। এখন থেকেই বোম বন্দুক মজুত করছে। তবে মানুষ এর জবাব দেবে।
প্রসঙ্গত এই হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভা এলাকায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে বারবার অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে শাসকদলকে। কখনও দুর্নীতি ইস্যু আবার কখনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আর এবার উঠল সন্ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগ। মুখে না বললেও তাই স্বাভাবিক ভাবে অসন্তুষ্ট জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।