ছাত্রীকে কটূক্তি, বিক্ষোভ অবরোধের জেরে প্রধান শিক্ষক অপসারিত সুজাপুরে
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ০৮:০০ পিএম, ৬ আগস্ট ২০২২ শনিবার
ছাত্রীকে কটূক্তি, বিক্ষোভ অবরোধের জেরে প্রধান শিক্ষক অপসারিত সুজাপুরে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী পেটে ব্যথার জন্য ছুটি চাইতে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অশ্লীল কটূক্তি শুনতে হয়। তার জেরে ওই শিক্ষককে গণপিটুনির করলেও পড়তে হয়। বৃহস্পতিবার ওই স্কুলের সামনে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখান ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক থেকে শুরু করে গ্রামবাসীরা। শুক্রবার ফের একই দাবিতে ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকরা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে তুমুল বিক্ষোভ দেখান। পড়ুয়াদের আন্দোলনের জেরে অবশেষে অপসারিত করা হল মালদহের কালিয়াচকের বামনগ্রামের এইচএমএএম হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত ওই প্রধান শিক্ষক হিফজুর রহমানকে। কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লকের বিডিও সেলিম হাবিব সর্দার জানিয়েছেন, ওই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে অপসারণ করা হয়েছে। অন্যজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
শনিবার স্কুল শুরু হলেও পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ছাত্র বিক্ষোভের জেরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বামনগ্রামের এইচএমএএম হাই স্কুলে। শুক্রবার সকালেও ওই স্কুলের পড়ুয়ারা প্রায় দু'কিলোমিটার মিছিল করে এসে বড়নগর ডাঙায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। তাদের দাবি, টিআইসি হিফজুর রহমানকে সরাতে হবে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কালিয়াচক থানার পুলিশ। প্রায় দু'ঘণ্টা অবরোধ চলে। জাতীয় সড়কে যানজট তৈরি হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। দশম শ্রেণির এক নাবালিকা ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, বুধবার দুপুরে স্কুলে মেয়ের পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। সেই সময় ওই ছাত্রীর সমস্যা এবং কষ্ট দেখেও চরম দুর্ব্যবহার এবং অশ্লীল আচরণ করেন। ওই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। ছাত্রীটি কান্নাকাটি করে বাড়ি চলে আসে। পরিবারের লোকেদের বিষয়টি জানায়। তারপর বুধবার রাতে যখন কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বামনগ্রাম এইচএমএএম হাইস্কুলের ওই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিফজুর রহমান। তখন তাঁকে গ্রামবাসীরা ব্যাপক গণপিটুনি দেন। সেই সময় ওই শিক্ষকের আত্মীয়রা কোনও রকমে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে তাঁকে বাঁচান। রাতেই ওই শিক্ষককে গুরুতর জখম অবস্থায় মালদহ শহরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। পরের দিন সকাল থেকে ওই স্কুলের সামনে চলে বিক্ষোভ। কালিয়াচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে স্কুল পড়ুয়া থেকে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাঁদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যদিও ছাত্রীর পরিবারের তরফে পুলিশ কোনও লিখিত অভিযোগ পায়নি। কালিয়াচক-১ নম্বর ব্লকের বিডিও সেলিম হাবিব সর্দার জানিয়েছেন, ওই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যদিও এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি
বামনগ্রাম এইচএমএএম হাইস্কুলের ওই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিফজুর রহমান।