শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিগত কয়েক বছর ধরে সাট্টারি গ্রামে মাছের শুটকি তৈরি করছেন কিছু ব্যবসায়ী।

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ১২:৫১ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০২২ বুধবার

মালদহ- বিগত কয়েক বছর ধরে সাট্টারি গ্রামে মাছের শুটকি তৈরি করছেন কিছু ব্যবসায়ী। গত ১৫-২০ বছর ধরে মালদহ জেলার ইংরেজবাজার ব্লকের সাতটারি গ্রামে শুরু হয়েছে শুটকি তৈরি।  শুটকি মাছ প্রস্তুত করে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি তে পাঠিয়ে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে।এমনকি মালদা জেলার সাথে উত্তর- পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি ব্যাবসায়িক সম্পর্ক স্থাপন হচ্ছে।
   উত্তর- পূর্ব ভারতের সিকিম নাগাল্যান্ড মণিপুর মিজোরাম আসাম রাজ্যগুলিতে এই শুটকি মাছ জনপ্রিয়। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং তরাই ডুয়ার্স অঞ্চলের বাসিন্দাদের মধ্যেও শুটকি মাছের চাহিদা রয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় শুটকি মাছের চাহিদা থাকলেও মাছের পর্যাপ্ত যোগানের অভাবে তেমনভাবে শুটকি তৈরি হয় না। তাই শুটকি মাছের জন্য পাহাড়ের বাসিন্দাদের নির্ভর করতে হয় সামুদ্রিক মাছের ওপর। সমুদ্রে পর্যাপ্ত পরিমাণে মাছ পাওয়া যায়। সেই মাছ দিয়ে শুটকি তৈরি করে রপ্তানি করা হয় পাহাড়ি অঞ্চলে। এতদিন রাজ্যের অন্যান্য প্রান্ত থেকে শুটকি মাছ পাহাড়ে পাঠানো হতো। বিগত কয়েক বছর ধরে মালদা জেলার কিছু ব্যবসায়ী নতুন উদ্যোগ নিয়ে শুটকি মাছ প্রস্তুত শুরু করেন। রাজ্যের সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চল থেকে মাছ নিয়ে এসেছে সেগুলিকে শুটকি তৈরি করা হয় মালদায়।
শুটকি প্রস্তুতকারকরা জানান, মূলত দীঘা পারদ্বীপ থেকে সামুদ্রিক মাছ গুলি নিয়ে আনা হয়। সেখান থেকেই মাছে লবণ দিয়ে মালদায় নিয়ে আসা হয় মাছ। সাতটারি গ্রামের তৈরি করা হয়েছে শুটকি প্রস্তুত করার হাব। ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে এই প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থা। প্রথমে মাছ গুলিকে ভালো করে জলে পরিষ্কার করা হয়। তারপর খোলা আকাশে  রোদে শুকাতে দেওয়া হয়। গ্রামের কয়েক একর জমি জুড়ে তৈরি করা হয়েছে মার্চ শুকানোর বিশেষ মাচা। বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই মাচা। মাচার উপর শুকোতে দেওয়া হয় মাছ। প্রায় এক সপ্তাহ সময় লাগে মাছের শুটকি তৈরি করতে। শুকনো মাছের কানকো, আঁশ সহ পরিষ্কার করা হয় সুন্দর ভাবে। তারপর সেগুলি গাড়িতে করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।