সরকারি পরিচয় পত্রের হিসাবে বয়স প্রায় ১০০ বছর। তবুও মেলেনি বার্ধক্য এবং বিধবা ভাতা।
পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা
প্রকাশিত : ১১:৫২ এএম, ১১ এপ্রিল ২০২২ সোমবার
মালদা , ১১ এপ্রিল। সরকারি পরিচয় পত্রের হিসাবে বয়স প্রায় ১০০ বছর। তবুও মেলেনি বার্ধক্য এবং বিধবা ভাতা। সরকারি প্রকল্পের বাড়ির তৈরির আর্থিক সাহায্য থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন শতবর্ষ পূর্ণ করা মানিকচক ব্লকের শেখপুরা গ্রামের বৃদ্ধা আনেখা বেওয়া। প্রশাসনের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই সরকারি সাহায্য পাওয়ার লিখিত আবেদন জানালেন পাঁচকুড়ি বয়সী ওই বৃদ্ধা।
উল্লেখ্য, বৃদ্ধা আনেখা বেওয়ার স্বামী মহম্মদ সাহিদ মারা গেছেন প্রায় ৩৫ বছর আগে। বর্তমানে চোখে সেরকম দেখতে পান না। কানেও কম শোনেন। লাঠির ভরসায় হাঁটাচলা করেন।
বিধবা বৌমার অভাবি সংসারে কোন রকম করে বেঁচে রয়েছেন তিনি। ভাঙ্গা টালির চাল ও চাটাই দেওয়া বাড়ির ভগ্নদশা অবস্থা। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনমুখী সামাজিক প্রকল্প থাকলেও কোনো কারনে সেই সরকারি সাহায্য পাচ্ছেন না আনেখা বেওয়া বলে অভিযোগ। তাই অসহায় হয়ে ব্লক প্রশাসনের মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন মৃত্যুর আগে সরকারি ভাতা ও সরকারি সাহায্যে বাড়ি পাওয়ার জন্য।
এ ব্যাপারে তৃণমূল পরিচালিত এনায়েতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধানের স্বামী মহম্মদ তোফাজ্জল হোসেন জানিয়েছেন, আনেখা বেওয়া সেখপুরা গ্রামে থাকেন না। তাই কিছু বলতে পারব না।
অথচ ওই বৃদ্ধার মেয়ের দাবি, তার বৃদ্ধা মা থাকেন এনায়েতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত শেখপুরা গ্রামে।
শেখপুরা গ্রামের একাংশ বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গ্রামেই খুব অসহায় অবস্থায় দিনযাপন করছেন ১০০ বছর পার করা ওই বৃদ্ধা । অভাবি সংসারে সামান্যটুকু উপার্জনের ওপরই ভরসা করে। উনার সরকারি ভাতা ও বাড়ির ব্যবস্থা হলে উপকৃত হতো।
যদিও এ প্রসঙ্গে মানিকচক ব্লক প্রশাসন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বিষয়টি জানা ছিল না। ওই বৃদ্ধা যেসব সরকারি সুযোগ সুবিধা পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন অবিলম্বে সেগুলি পাইয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।