রোববার   ১২ অক্টোবর ২০২৫   আশ্বিন ২৭ ১৪৩২   ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

মালদা জেলার হবিবপুর ব্লকের ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী আইহো পঞ্চায়েতের যাদবনগর গ্রাম।

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৯:১৯ এএম, ২১ মার্চ ২০২২ সোমবার | আপডেট: ০৯:১৯ এএম, ২১ মার্চ ২০২২ সোমবার

মালদা:-  মালদা জেলার হবিবপুর ব্লকের ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী আইহো পঞ্চায়েতের যাদবনগর গ্রাম। প্রাচীনকাল থেকেই গম্ভীরা গানের অস্তিত্ব রয়েছে এই গ্রামে। আইহো যাদবনগরে একাধিক গম্ভীরা দল রয়েছে। যারা জেলা ছাড়িয়ে জাতীয় স্তরে সুনাম কুড়িয়েছেন গম্ভীরা গানের মাধ্যমে। এলাকার পুরুষ গম্ভীরা দল এর হাত ধরেই তৈরি হয়েছে মহিলা গম্ভীরা দল। এক সময় পুরুষ দলের সাথেই গান গাইতেন ও অভিনয় করতেন কয়েকজন জন মহিলা শিল্পী। মহিলাদের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকায় তৈরি হয় সম্পূর্ণ মহিলা গম্ভীরা দল। তাদের অভিনয় ও গানে মুগ্ধ হয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারি তালিকায় তাদের দলের নাম রেজিস্টার করা হয়। বর্তমানে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের প্রচার থেকে শুরু করে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে নানান অনুষ্ঠানে গম্ভীরা গান গেয়ে সুনাম কুড়িয়েছেন মহিলাদলের শিল্পীরা। এখন অনেকটাই খ্যাতি ছড়িয়েছে যাদব নগর মহিলা গম্ভীরা দলের। দলের সদস্য সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বছরের বিভিন্ন সময়ে মিলছে গম্ভীরা গানের বরাত। বেশি সংখ্যক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে একটি দল ভেঙে দুটি দল তৈরি করেছেন তাঁরা। প্রতিটি দলের ১০ জন করে সদস্য রয়েছেন। একসময় পুরুষ শিল্পিদের বেঁধে দেওয়া গানে অভিনয় করতেন মহিলারা। তবে গত কয়েক বছর ধরে মহিলারা নিজেরাই গান বাধতে শিখেছেন। নিজেরাই নতুন নতুন গান বেঁধে তার সুর তোলেন। ঘরের কাজের ফাঁকে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ ঘন্টা চলে মহরা।
        পরিবারের রয়েছে আর্থিক অনটনে। কারো স্বামী দিনমজুর আবার কারো স্বামী অন্যের দোকানে শ্রমিকের কাজ করেন। সংসারের হাল ধরতে মহিলা শিল্পীদের অনেকেই এখনো বিড়ি শ্রমিক। গম্ভীরা গান শেখায় নতুন দিশা দেখছেন মহিলা শিল্পীর। সরকারি তালিকায় শিল্পী হিসেবে নথিভুক্ত হওয়ায় এখন নিয়মিত সরকারি ভাতা মিলেছে। আবার সরকারি অনুষ্ঠান করলে পারিশ্রমিক দিচ্ছে। গম্ভীরা গানের মাধ্যমে সয়ম্বর হবার নতুন দিশা পেয়েছেন যাদব নগর মহিলা গম্ভীরা দলের শিল্পীরা।