রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জেল থেকে ছাড়া পেলেন আসিয়া বিবি

জাগরণ ডেস্ক

দৈনিক জাগরণ

প্রকাশিত : ১২:০৬ পিএম, ৮ নভেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

 

ব্লাসফেমি অভিযোগে আট বছর কারাভোগের পর জেল থেকে মুক্তি পেলেন আসিয়া বিবি। তার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার আইনজীবী সাইফ মুলুক।

নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানায়,দক্ষিণ পাঞ্জাবের মুলতানের একটি জেল থেকে বুধবার (৭নভেম্বর) রাতে আসিয়া বিবি ছাড়া পেয়েছেন।

কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুক্তির পর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আসিয়া বিবিকে রাজধানী ইসলামাবাদের কাছে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তিনি  বিমানে করে রওনা হয়েছেন। কিন্তু তিনি কোথায় যাচ্ছেন সে বিষয়ে সঠিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

অপরদিকে আসিয়া বিবির দেশ ত্যাগের খবরকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ড. মোহাম্মদ ফয়সাল। আজ বৃহস্পতিবার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনকে একথা জানান তিনি।


আসিয়া বিবি,যিনি আসিয়া নুরেন নামেও পরিচিত। তিনি পাঁচ সন্তানের জননী। মহানবী হযরত মোহাম্মদ(স:)কে অবমাননার অভিযোগে ২০১০ সালে তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয় পাকিস্তানের আদালত। যদিও তিনি সবসময় বলে এসেছেন তিনি নির্দোষ।  সুপ্রীম কোর্টে আপিল করেন আসিয়া বিবি। সম্প্রতি সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিরা তাকে বেকসুর খালাস দেয়।

আসিয়া বিবিরি স্বামী জানান, তারা বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন। তিনি কয়েকটি দেশের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। বেশ কয়েকটি দেশ তাকে আশ্রয় দেবার কথা বলেছে।
 

তবে পাকিস্তান সরকার বলছে,দেশজুড়ে সহিংস বিক্ষোভের পরিসমাপ্তির পর তার বিদেশে যাওয়ার জন্য আইনী কার্যক্রম শুরু করবেন।

তার খালাসের রায়ের প্রতিবাদে দেশজুড়ে ইসলামপন্থি সংগঠনগুল বিক্ষোভ করছে। তাদের চাপের মুখে সরকার আসিয়া বিবির পাকিস্তান ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

প্রসঙ্গত,২০০৯ সালের জুনে একদল নারীর সঙ্গে ফসলের জমিতে কাজ করছিলেন আসিয়া বিবি । তিনি ঐ নারীদের বালতি থেকে এক গ্লাস পানি নিলে ঐ নারীদের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়।
ওই নারীরা বলেন,যেহেতু আসিয়া বিবি খ্রিস্টান,সেহেতু তিনি মুসলিমদের বালতির পানিতে গ্লাস ডুবিয়ে পানি তুলতে
পারেন না। তাদের বালতির পানি অশৌচ হয়ে গিয়েছে। নারীরা আসিয়া বিবিকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের দাবি জানান। ঝগড়ার এক পর্যায়ে হযরত মুহাম্মদ স.কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেন  বলে অভিযোগ করেন নারীরা।

বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয় আদালত। ব্লাসফেমির দায়ে আট বছর ধরে সাজা ভোগ করছিলেন তিনি। সূত্র: বিবিসি

সাইসে/বিএস/সাইসে