মালদা- মালদা মেডিকেল কলেজে এবারে ভূতের আতঙ্ক। রাতে ওয়ার্ডের মধ্যে থেকে ভেসে আসছে বিভিন্ন ধরনের আওয়াজ, নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দরজা। ছুটে আসছে অ্যাসিড এর বোতল। ভুতের আতঙ্কে নার্সিং স্টাফ রা ওয়ার্ডে কাজ করতে চাইছেন না। কাজ করতে রাজি নন সাফাই কর্মীরাও। মালদা মেডিকেল কলেজের ট্রমা সেন্টারের এই বিচিত্র অভিজ্ঞতা নিয়ে বৃহস্পতিবার কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নার্সিং স্টাফ এবং সাফাই কর্মীরা। এ বিষয়ে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের নার্সরা পড়া আমাকে বিস্তারিত জানিয়েছেন। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ওই ওয়ার্ডের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। কেন ওখানে বিভিন্ন ধরনের আওয়াজ এবং অন্যান্য কর্মকান্ড ঘটছে তা খতিয়ে দেখতে আমরা সরোজমিনে যাব। আসলে এটি একটি বিরাট বড় ওয়ার্ড, এখন রোগীর সংখ্যা অনেক কমে যাওয়ায়, ফাঁকা ওয়ার্ডে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে। অ্য।সিডের বোতল ছোড়ার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত নার্সিং স্টাফদের মধ্যে ভুতের আতঙ্কে রীতিমতো ভয়ে কাজ করছেন তারা। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাক্তার পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় এর কাছে বিষয়টি তুলে ধরেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় গত দুইদিন আগে থেকেই মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারের দ্বিতীয় তলায় গভীর রাতে হঠাৎই নানারকম শব্দ ভেসে আসছে। কখনো দরজার আওয়াজ আবার কখনো বিকট শব্দ। ভয় কর্মরত নার্সরা নিচে নাম ছিলেন, সেই সময় হঠাৎই তাকে লক্ষ্য করে অ্য।সিডের বোতল উড়ে আসে। পরে নিচে নেমে এসে তারা সহকর্মীকে বিষয়টি জানায়। কর্মরত গ্রুপ-ডি কর্মীদের মধ্যেও এই ধরনের শব্দের আওয়াজ শুনেছেন বলে তারা অভিযোগ জানানো হয়। তবে মালদা মেডিকেল কলেজের গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ড, যেখানে কিছুদিন আগেই বহু করনা রোগীর চিকিৎসা এবং মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল, সেখানেই ভূতের আতঙ্কে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মেডিকেল কলেজ চত্বরে জুড়ে। যদিও হাসপাতালের ওয়ার্ড এর মধ্যে এই ভূতের আতঙ্ক কে একেবারেই মানতে নারাজ, মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষের। তিনি জানিয়েছেন এর সঠিক কারণ জানতে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে ওয়ার্ডের নিরাপত্তা।