শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে গ্রেফতার হলেন তরুণী।

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৭:৩৮ পিএম, ৯ জুলাই ২০২১ শুক্রবার

মালদাঃ- প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে গ্রেফতার হলেন তরুণী। মালদহের চাঁচলের লালগঞ্জে ওই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তরুণীর অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার পরেও বিয়েতে রাজি হয়নি যুবক। প্রেমিকের অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়েছে জেনে তার বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছিলেন তরুণী। প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসলেও পুলিশকে কোনও অভিযোগ জানাননি। উল্টে হাত কেটে, এলাকায় বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছিলেন। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লালগঞ্জে গিয়ে পুলিশ তরুণীকে আটক করে নিয়ে আসে। হাসপাতালে তার চিকিত্সা করানো হয়। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে! তরুণীর বিরুদ্ধে ২৯০ ধারায় এলাকায় গন্ডোগোল, সামাজিক বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণীর বাড়ি লালগঞ্জে। যুবকের বাড়িও একই এলাকায়। তরুণীর বাবা ভিন্ রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন।সেও পরিযায়ী শ্রমিক। বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিবেশী যুবকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন ওই তরুণী। তার অভিযোগ, ভিন্ রাজ্য থেকে বাড়ি ফিরলেই তাকে নিয়ে ঘুরতে যেত সে। গত দু বছর ধরে যুবকের সঙ্গে তার প্রণয়ের সম্পর্ক রয়েছে। তাকে একাধিকবার বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাইরে ঘুরতে গিয়ে শারীরিক সম্পর্কও করেছে। কিন্তু পরে বাবা-মা রাজি হচ্ছে না বলে সে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। ধর্নায় বসার পর যুবকের মা তাকে ধাক্কাধাক্কি করেন, মারধর করেন বলেও তরুণীর অভিযোগ। এরপরেই বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দেন তরুণী। ব্লেড দিয়ে নিজের হাত কেটে দেন। হাত থেকে রক্ত ঝরতে থাকে। সেই অবস্থাতেই ধর্নায় বসে থাকেন তরুণী। সন্ধ্যায় পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে আসে। গ্রেফতারের আগে তরুণী বলেছিলেন, ওর সঙ্গে আমার স্ত্রীর মতো সম্পর্ক ছিল! বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার বাইরে নিয়ে গিয়েছে। স্ত্রীর মর্য়াদা না দেওয়া পর্য়ন্ত এখানেই বসে থাকব। প্রয়োজনে আত্মহত্যা করব। তরুণীর মায়েরও দাবি, মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দিতে চাইলেও রাজি হয়নি। কিন্তু ছেলেটি আগে বিয়ের কথা বলেও এখন রাজি হচ্ছে না। ছেলেটির অন্যত্র বিয়ে হচ্ছে জানতে পেরেই মেয়ে ধর্নায় বসেছিল। যদিও যুবকের মায়ের দাবি, তরুণীর সঙ্গে অন্যজনের সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের কাছে প্রমানও আছে। যে কেউ এসে বাড়ির সামনে বসে পড়লেই তাকে ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দিব। আর আমি ওকে মারধর করিনি। হাত কেন কেটেছে তা ওই বলতে পারবে। স্থানীয় বাসিন্দা আমেরুল হোসেন বলেন, ওদের সঙ্গে অনেকদিন ধরেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু ছেলেটি এখন বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে না বলেই ধর্নায় বসেছে। চাঁচলের আইসি সুকুমার ঘোষ বলেন, এমন হলে মেয়েটি বা তার পরিবারের কেউ পুলিশে অভিযোগ জানাতে পারত। পুলিশ আইনমাফিক পদক্ষেপ করত। কিন্তু তা না করে মেয়েটি এলাকায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করে পরিবেশ নষ্ট করছিল। এসব দেখে এলাকার ছোট ছেলেমেয়েরা কি শিখবে?