সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সংবাদ মধ্যেমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেই সাহায্য পেল তহমিনা বেওয়া l

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৭:৩৬ পিএম, ৯ জুলাই ২০২১ শুক্রবার

মালদাঃ-সংবাদ মধ্যেমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেই সাহায্য পেল তহমিনা বেওয়া (৬০)। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন ‌সংবাদ মাধ্যমে তার জীবন যন্ত্রনার কথা তুলে ধরা হয়।খবর দেখে ৭০ কিলোমিটার দূর মালদা থেকে এসে 'পরিবর্তন' নামে এক স্বেচ্ছাসেবক সংস্থার সদস্যরা তহমিনা বেওয়ার হাতে তিন মাসের খাদ্য সামগ্রী ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তুলেদেন বলে জানা যায়। 'পরিবর্তন' স্বেচ্ছাসেবক সংস্থার সভাপতি তামান্না খান জানান বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তহমিনা বেওয়ার জীবন যন্ত্রনার কথা জানতে পেরে ৭০ কিলোমিটার দূর থেকে এসে বৃদ্ধার হাতে তিন মাসের খাদ্য সামগ্রী ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তুলেদেন।বৃদ্ধার স্বামী মারা যাওয়ার কুঁড়ি বছর কেটে গেলেও কেনো তার বিধবা ভাতা চালু হয়নি তা তিনি স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য গোলাম মর্তুজার সঙ্গে কথা বলেন এবং হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান। এবং পরবর্তী সময়ে তার পাশে থাকার আশ্বাস দেন 'পরিবর্তনের' সদস্যা। উল্লেখ্য হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা তহমিনা বেওয়া।২০ বছর আগে স্বামী মহম্মদ আনিস মারা যায়। একমাত্র ছেলে হামেদুল ইসলাম মায়ের কাছ থেকে সব বাস্তুভিটা ও জমি নিজের নামে করে নেয়।বিয়ে করতে না করতেই মাকে আলাদা করে দেয় ছেলে।সেই থেকে শুরু হয় অভাব। শুকনো মুড়ি,পান্তা ভাত ও শাকপাতা খেয়ে দিন গুজরান করেন তহমিনা। গ্রামে বেশ কয়েকবার সালিশি সভাও বসে।ছেলে কথা দেয় মাকে দেখবে। কিন্তু কথার কথা, দেখে না।দিনের পর দিন তহমিনার শরীর দুর্বল হয়ে পড়ছে। চোখের দৃষ্টিশক্তি ক্ষিন হয়ে গেছে। চামড়ায় ভাঁজ পড়ে। চুলে পাক ধরেছে। এখন সরকারি সাহায্যের আশায় কাটছে দিন।