মালদাঃ-মহানন্দার বুক থেকে অবৈধভাবে কাটা হচ্ছে সাদা বালি।গোপন সূত্রে অভিযানে যান খোদ মহকুমা শাসক।দেখেই প্রশাসনের চক্ষু চড়ক গাছ।আটক করলেন বালি ভর্তি দুটি টলি।মালদহ-উত্তর দিনাজপুর চাঁচল থানার সীমান্তবর্তী আশাপুরের মাধবপুর সেতুর নীচে কাটা হচ্ছে বালি বলে খবর ছিল প্রশাসনের। শুক্রবার চাঁচলের মহকুমা শাসক সঞ্জয় পাল নিজের দপ্তর থেকে বেড়িয়ে পড়েন মহানন্দার মাধবপুর ঘাটে।সেখানেই নাকা চেকিং পয়েন্টে দুটি বালিভর্তি টলি আটক করেন মহকুমাশাসক।তার সাথে চালককেও আটক করা হয়।চাঁচলের মহকুমা শাসক সঞ্জয় জানান,আজ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মাধবপুর সেতুতে আসি সেখানে দেখি বেশ কিছু টলি নদী থেকে বালি কেটে সেগুলো চালান করা হচ্ছে।এদিন দুই ট্রাক্টর চালকে গ্রেফতার করা হয়।কিন্তু তারা কোনো বৈধ নথি দেখাতে না পারায় তাদেরকে চাঁচল পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।মহানন্দার বুক থেকে বালি বৈধ না অবৈধ ভাবে কাটা হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মহকুমা শাসক বলেন,আমরা তাদের কাছ থেকে কোনো বৈধ নথি পাইনি।স্বভাবতই অবৈধভাবে কাটা হচ্ছে বলে তদন্তে অনুমান মহকুমা প্রশাসনের।এদিন ধৃত বালি পাচারকারীদের আটক করে চাঁচল পুলিশের হাতে তুলে দেন মহকুমা শাসক। এদিন অভিযানে ছিলেন চাঁচল মহকুমার ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক ।তিনি বলেন,মহানন্দা বুকে অবৈধভাবে বালি কাটা হচ্ছে! আমরা তা তদন্ত করতে প্রায়সই আসি।আজকে দুজন অবৈধ পাচারকারী সহ দুটি ট্রলিকে আটক করে মহকুমা শাসক।তবে ওই এলাকায় তিনজনের রয়্যালিটি অনুমোদন রয়েছে।তবে আজকে আটক করা বালি ভর্তি টলি গুলো বৈধ কোনো নথি দেখাতে পারেনি।ভূমি ও ভূমি সংস্কারের তরফে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে টলি চালকের মধ্যে আটককারী একজন মহিবুল আলী জানান,আমরা নদী থেকে বালি কিনে নিয়ে যাচ্ছি।আমাদেরকে বলছে তুলে নিয়ে যেতে।কথা মতো আমরা তুলে নিয়ে যাচ্ছি। শুকনো হোক বা জল ভর্তি যার যা প্রয়োজন বালি কেটে নিয়ে চলে যাচ্ছে।এদিন এমনটাই জানালেন নদী তীরে বসবাসকারী এক বাসিন্দা নজিমুল হক।