সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে চলছে একশো দিনের পুকুর খননের কাজ

পুষ্পপ্রভাত পত্রিকা

প্রকাশিত : ০৪:৪৫ পিএম, ১০ জুন ২০২১ বৃহস্পতিবার

মালদাঃ-গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে চলছে একশো দিনের পুকুর খননের কাজ।কিন্তু সেই কাজে নাম নথিভুক্ত হচ্ছে কংগ্রেস সমর্থিত শ্রমিকদের এমনি অভিযোগ।কাজ না পেয়ে ঘুরে যাচ্ছে তৃণমূল সমর্থিত শ্রমিকেরা।আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে স্বজনপোষনের অভিযোগ।মালদহের চাঁচল-১ নং ব্লকের মকদমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ট‍্যাঙরিয়া পাড়ায় চলছে একশো দিন প্রকল্পের কাজ।

সেই কাজের মাধ‍্যমে খনন করা হচ্ছে পুকুর।অভিযোগ ট্যাঙরিয়া পাড়ার গ্রামের তৃণমূল সমর্থিত শ্রমিকেরা কাজ চাইতে গেলে তাদেরকে ঘুরিয়ে দিচ্ছেন মকদমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ট‍্যাঙরিয়া পাড়া গ্রামের কংগ্রেসের মেম্বার হালিমা বিবির স্বামী জাহাঙ্গীর আলম।গ্রামের বিধবা বধূদের অভিযোগ,তারা নাকি গত বিধানসভা নির্বাচনকে তৃণমূল কংগ্রেসে ভোট দিয়েছেন।তাই তাদের কাজ থেকে বঞ্চিত রাখছে ওই কংগ্রেস মেম্বার।
কাজ চাইতে গেলে অসহায় বিধবা বধূদের দূরদূর করে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে।পাশাপাশি এই পুকুর খননের কাজে নেওয়া হচ্ছে ওই গ্রামের কংগ্রেস সমর্থিতদের।আর এনিয়ে তীব্র ক্ষিপ্ত স্থানীয় তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা।
স্বজনপোষণের অভিযোগ তোলে চাঁচল-১ নং ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন একশোদিনের কাজে বঞ্চিত শ্রমিকেরা।কাজ না পেয়ে সার্জুনা বিবি অভিযোগ করে বলেন,লকডাউনে স্বামী কর্মহীনতায় ভুগছে।গ্রামে একশো দিনের কাজ শুরু  হয়েছে।সেই কাজ চাইতে গেলে দলগত দৃষ্টিতে দেখছেন ওই সাংসদের প্রতিনিধির স্বামী জাহাঙ্গীর আলম।আমরা এবছর নির্বাচনে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছি যার কারনে একশো দিনের কাজ থেকে বঞ্চিত রেখেছেন ওই কংগ্রেস মেম্বার।আমরা এই ব‍্যাপারে বিডিওকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।পাশাপাশি এলাকার বিধায়ককেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।জবকার্ডধারী বঞ্চিত শ্রমিকরা কাজ না পেয়ে স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে অসহায়তার মধ‍্যে দিন গুজরান করছে।যদিও একশো দিনের পুকুর খননে স্বজনপোষনের অভিযোগটি অস্বীকার করছে ওই সংসদের মেম্বারের স্বামী জাহাঙ্গীর আলম।তিনি বলেন,সিংহভাগ শ্রমিক মহিলা হলে কাজ এগোবেনা।তবে মহিলাদেরও কাজে নেওয়া হয়েছে।যারা কাজ করছে তারা সর্বদলীয় বলে দাবি করেছে সংসদের মেম্বারের স্বামী।

এদিকে অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন চাঁচল-১ নং ব্লকের বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য্য।তিনি বলেন,শ্রমিকদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।স্বজনপোষনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে  কড়া পদক্ষেপ গ্রহন করার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও।স্থানীয় তৃণমূল নেতা জহুর আহমেদের দাবি,কাজ যেন সবাই পায় সেটা পঞ্চায়েতকে দেখা উচিত।লকডাউনে দিনমজুর পরিবারেরা অর্থাভাবে  রয়েছে।

যদি পঞ্চায়েত উপযুক্ত ব‍্যবস্থা না করে তবে দলীয়গত ভাবে আন্দোলনে নামার হুশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।যদিও বিষয়টি নিয়ে মকদমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের দপ্তরে সাংবাদিকরা বিবৃতি নিতে গেলে প্রধানের অফিস ঘরের দরজায় ঝুলানো রয়েছে তালা।