তফসিল ঘোষণার ভাষণে যা বলবেন সিইসি
হাসান শাফিঈ
দৈনিক জাগরণ
প্রকাশিত : ০৯:৫২ এএম, ৮ নভেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার
সব কিছু ঠিক থাকলে আজ সন্ধ্যা ৭টায় ঘোষিত হবে একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল। তফসিল উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।
সিইসির এ ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও জাতীয় বেতারের পাশাপাশি বেসরকারি টেলিভিশন ও রেডিওতে সম্প্রচারিত হবে। জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে সিইসি ৪০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ, আরপিও সংশোধন ও আসনভিত্তিক সীমানা নির্ধারণসহ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে ৭টি মূল কাজ সম্পন্ন করার কথা তুলে ধরবেন।
ইসি সূত্র জানায়, এর আগে আজ সকাল ১০টায় কমিশন বৈঠকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত হবে। বৈঠক শেষে ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে সিইসির অফিস কক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণ ধারণ করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের একটি দল।
সূত্র জানায়, সিইসি তার ভাষণে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, গণমাধ্যম কর্মীসহ দেশবাসীর কাছে সহায়তা চাইবেন। পাশাপাশি তিনি সব দলকে এ নির্বাচনে অংশ নেয়ার উদাত্ত আহ্বান জানাবেন। ভাষণে নির্বাচনী কাজে-সংশ্লিষ্ট কেউ বা কোন দুষ্কৃতকারী যদি কোন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়ায় তাহলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতিও দেবেন সিইসি। সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীসহ সব শ্রেণী-পেশার ভোটাররা যেন নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন, সে বিষয়েও ভাষণে নিশ্চয়তা থাকবে।
ইসির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, আজ বৃহস্পতিবার সকালের কমিশন সভায়ই মূলত চূড়ান্ত করা হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল। কমিশন বৈঠকের জন্য যে কার্যপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে, তাতে ২০ থেকে ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ভোটগ্রহণ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। সূত্র জানায়, ২০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের তারিখ নির্ধারণের সম্ভাবনাই বেশি। খসড়া তফসিলে মনোনয়পত্র দাখিলের শেষ সময় ২০ অথবা ২২ নভেম্বর, যাছাই-বাছাই হবে ২৫-২৬ নভেম্বরের মধ্যে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার সময় থাকবে ৪ ডিসেম্বর। আর বৈধ ঘোষিত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ হবে ৫ ডিসেম্বর।
সূত্র জানায়, ইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একাদশ সংসদ নির্বাচনে পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটালিয়ান আনসার, র্যাব ও বিজিবিসহ মোট ৬ লাখ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন হবে। পাশাপাশি নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে প্রস্তুত থাকবে সেনাবাহিনী। সেনা সদস্যরা বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করবে। নির্বাচনে ৪০ হাজার ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ৭ লাখ সরকারি-আধাসরকারি সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী। নির্বাচনে শহর অঞ্চলে সীমিত আকারে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। সিইসির ভাষণে এসব উল্লেখ করা হতে পারে।
বিএস